ঝলমলে কলকাতা থেকে বহু দূরে বাড়ি। কলকাতার মতো এত সুযোগ সুবিধাও নেই। পারিবারিক অবস্থাও সেভাবে ভালো নয়। নিতান্তই সাধারণ পরিবার। তবে যাবতীয় প্রতিক𒉰ূলতাকে দূরে রেখে এবার উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় আলিপুরদুয়ারের পিয়ালি দাস। আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। একেবারে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে সে।
বাবা সোনার দোকানের একেবারে সাধারণ কর্মচারী। চূড়ান্ত প্ꦗরতিকূলতার মধ্য়েও মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছেন বাবা। মেয়ের এই সাফল্য়ে অত্যন্ত খুশি বাবা, মা সহ পরিবারের সদস্যরা। পিয়ালি আজ শুধু আলিপুরদুয়ার কিংবা উত্তরবঙ্গের গর্ব নয়, পিয়ালি আজ গোটা দেশের গর্ব। পিয়ালি ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।
পিয়ালি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ৬-৭ ঘণ্টা পড়♊তাম।টেস্টের পর থেকে খুব খাটতাম। মা-বাবা সবসময় পাশে থেকেছেন। শিক্ষকরাও সবসময় সহায়তা করেছে। তারই ফল পেলাম।
নিতান্তই সাꦿধারণ পরিবার। কোনওরকমে সংসার চলে যায়।🤡 সেই পরিবারের সন্তান পিয়ালি দাস। বাবা সংসার চালানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। মা বাবা দুজনেই সবসময় পিয়ালির পাশে থেকেছেন। টেস্টের পর থেকে একেবারে কঠিন পরিশ্রম শুরু করেন পিয়ালি। লক্ষ্য় থেকে এতটুকু বিচ্যুত হয়নি। তার ফলও পেলেন হাতেনাতে।
এবার উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোট ৪জন। তাদের সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। এবার মেধাতালিকায় যে চারজন তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা হলেন তমলুকের হ্যামিলটন হাইস্কুলের চন্দ্রবিন্দু মাইতি, বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ ব﷽িদ্যালয়ের অনুসূয়া সাহা। আলিপুরদুয়ার কাম🐼াখ্য়াগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী পিয়ালি দাস তৃতীয় হয়েছেন। মেধাতালিকায় উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা শ্রেয়া মল্লিকও তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। তিনি বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
তবে এবার উচ্চমাধ্যমিকে নজর কেড়েছে উত্তরবঙ্গ। উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেনꦫ আবু সামা। তিনি ♒উত্তর দিনাজপুর জেলার রামকৃষ্ণপুর পিডিজিএম হাইস্কুলের ছাত্র। তিনি আগামী দিনে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হতে চান।