একদিকে চাকরির দাবিতে কলকাতায় খোলা আকাশের নীচে বছরের পর বছর বসে রয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতে সরকার জানাচ্ছে শূন্যপদ নেই। ওদিকে মৃত লোকের নামে পৌঁছল চাকরির নিয়োগপত্র। এক – দু’জন নয়, চার চারজন মৃতের নামে পৌঁছেছে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগপত্র। শুধু তাই নয়, ৬২ জন এমন ব্যক্তির নামে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগপত্র জারি করেছে যাদের বয়স ইতিম⛎ধ্যে ৬০ পার করেছে। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। ঘটনায় ফের একবার তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা।
অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি মাসে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ৬৬ জনের নামে নিয়োগপত্র জারি হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের আগেই মৃত্যু হয়েছে। ৬২ জনের বয়স ৬০ বছর পার করেছে। ফলে চাকরিতে কোনও ভাবেই যোগদান করতে পারবেন না তাঁরা। নিয়োগপত্র পাওয়া ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, ১৯৮৩ সালে আমাদের অযোগ্য ঘোষণা করে তৎকালীন বাম সরকার। এর পর প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আমরা চাকরি পাইনি। গত ২০ ডিসেম্বর আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। এর পর নিয়োগপত্র জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু যাদের নাম✱ে নিয়োগপত্র জারি হয়েছে তারা সবাই ৬০ বছর পার করেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে তাদের কর্মজীবন শুরু হয়েছে বলে ধরতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
নিয়োগপত্রꦆ নিয়ে কেউ বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে, কেউ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দফতরে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। চাকরি করতে না পারলেও অবসরকালীন সমস্ত সুযোগ সুবিধা দাবি করছেন এই প্রবীণꦜরা।
হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই কাণ্ডে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে দুর্নীতি করতে গেলে এরকম হয়। একদিকে সরকার বলছে শূন্যপদ নেই বলে নিয়োগ দিতে পারছি না। ওদিকে আবার মৃত মানুষ, ৬০ পেরিয়ে যাওয়াদের নামে নিয়💃োগপত্র জারি হচ্ছে। এতেই স্পষ্ট এই সরকার উঠতে বসতে মিথ্যা বলে।’
বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, ‘এমনই অপদার্থ সরকার যে দুর্নীতিটাও ঠিক করে করতে পারে না। এജখন এই ব্যক্তিদের অবসরকালীন সুযোগ ꧑সুবিধা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাতে সাধারণ মানুষের করের টাকাই নষ্ট হবে।’