বিশ্বসেরা স্কুলের তালিকা💮য় পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার স্কুল। বিꦰশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক স্কুলের তালিকায় ঠাঁই পেল হাওড়া কদমতলার সামারিটান মিশন স্কুল।
কারা দিল এই তকমা?
ব্রিটেনের গবেষণা সংস্থা T4 এডুকেশনের সঙ্গে বিশ্বের❀ কিছু বড় সংস্থা হাত মিলিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। T4 এডুকেশন শিক্ষার উন্নতি নিয়ে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। শুক্রবার এই সুখবরের কথা টুইটে জানান মু꧙খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেও বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে স্কুলটি। বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় জায়গা পেল হাওড়ার স্কুলটি। কুর্নিশ ও শু🐈ভ কামনা, বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্🌟যায়।
স্কুলের প্রতিক্রিয়া
সামারিটান মিশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মামুন আখতার এই খবরে নিজের আনন্দ প্ꦑরকাশ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বস্তি💛 এলাকার একটি স্কুল নিয়ে টুইট করেছেন... এটা আমাদের কাছে একটা বড় সম্মানের ব্যাপার।'
মামুন আখতার নিজে দ্বাদশ শꦓ্রেণির পরে পড়াশোনা করতে পারেননি। পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু তাঁর মতোই আগামী প্রজন্মের যাতে অর্থাভাবে পড়াশোনা ছাড়তে না হয়, সেই ভাবনা থেকেই বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন তꦡিনি।
মামুন জানান, ‘২০০১ সালে মাত্র তিনটি পড়ুয়া নিয়ে স্কুল শুরু করেছিলাম। বেতন ছিল মাসে ৫ টাকা করে। আজ ২১ বছর পর আমাদের স্কুলে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পড়ুয়া। সময়ের সঙ্গে খরচ কিছুটা বৃদ্ধি করতে হয়েছে। তবে এখনও আমরা মাত্র মাসে ২০০ টাকা করে বেতন নি𓃲ই।’
ত๊াও সবার থেকে এই টাকা নিই না। যারা দিতে পারবে, পরিবারের সঙ্গতি আছে, সেই পড়ুয়ারাই দেয়। ব♈াকিরা অনেকে কম, এমনকি বিনা খরচেই এখানে পড়াশোনা করে, বললেন মামুন আখতার।
কিন্তু স্কুলের খরচ কে চালায়?
মামুন জানালেন, বিভিন্ন সমাজসেবীদের অনুদান, রাজ্য সরকারি সাহায্যে স্কুল চলে। এক সময়ে কলকাতায় মার্কিন বিদেশদূত ও তাঁর স্ত্রীও অন🌠েক সাহায্য করেছিলেন।
কারা পড়ে এই স্কুলে?
মামুন জানান, সমাজের বিভিন্ন স্তর থে✤কে পড়ুয়ারা আসে এই স্কুলে। অনেকেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্য। তবে সবাইকেই সমানভাবে শিক্ষা প্রদান করে সামারিটান মিশন স্কুল।
স্কুলের নাম শুꦛনে মিশনারি স্কুল মনে হতেই পারে। কিন্তু এমন কোনও ব্যাপার নেই। মামুন জানান, স্কুলে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের শিক্ষা দেওয়া♛ হয়। স্কুলে একইভাবে হিন্দু ও মুসলিম উত্সব পালন করে পড়ুয়ারা।