লোকাল ট্রেন হোক বা এক্সপ্রেস ট্রেন। একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। যাত্রী না নামিয়েই চুঁচুড়া স্টেশন পেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল বর্ধমান লোকালকে। আর এক্সপ্রেস ট্রেন তো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। রেলের এই বিশৃঙ্খলা লেগেই রয়েছে। আর এবার রবিবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে গার্ড ছাড়াই ছেড়ে দিল হাওড়া–ব্যান্ডেল শেষ লোকাল ট্রেন। গার্ডহীন ট্রেন 💯রওনা দেয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে অনেকেই প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দিলেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা রেল আধিকারিক এবং আরপিএফকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে অবশ্য ওই ট্রেন আবার ব্যান্ডেলের দিকে রওনা দেয়।
এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা ক🧔ল্পনাও করতে পারেননি কেউ। গার্ড ছাড়া ট্রেন ছাড়ার কথা নয়। কিন্তু সেখা𒐪নে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে দিয়েছিল এই ট্রেনটি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তখন অনেকে তা বুঝতে পেরে চিৎকার জুড়ে দেন। আবার অনেকে প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দেন চলন্ত ট্রেন থেকে। এই চিৎকার শুনে ট্রেনের চালক ট্রেন থামান। তাতে আর কোনও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। পরে ওই ট্রেনটিই ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশন ছাড়ে। এই ট্রেন আরও আগে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু এই অঘটন ঘটে যাওয়ায় দেরি হয় সকলেরই।
আরও পড়ুন: ‘আ📖বার গণতন্ত্রের জয় হল’, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই খোঁচা ব্রাত্য বসুর
সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের হাওড়া–ব্যান্ডেল শেষ লোকালে যাত্রীদের বেশ ভিড় ছিল। হঠাৎ অ্যাড🅺্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করা হয়, ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১টা ৪৫ মিনিটের হাওড়া–ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে। ডিসপ্লে বোর্ডেও সেটা দেখানো হয়। এর পরেই ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে নিত্যযাত্রীরা উঠে পড়েন বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু ১১টা ৩৪ মিনিট নাগাদ হঠাৎ গার্ড ছাড়াই ট্রেন চলতে শুরু করে দেয়। ট্রেন অনেকটা এগিয়ে গেলে যাত্রীরা তীব্র আতঙ্কে চিৎকার জুড়ে দেয়। দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কায় বহু যাত্রী ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দেন। তাতে দু’জন মহিলা প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান। শেষে যাত্রীদের চিৎকারে চালক ট্রেনটি থামান। শুরু হয় তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ।