লোকসভা নির্বাচনে এবার বহরমপুরে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তবে তাঁকে প্রার্থী করার পরেই বহিরাগত বলে বারবার আক্রমণ করেছিল বিরোধীরা। এমনকী তিনি জয়ী হলেও এলাকায় যে তাঁকে সব সময় পাওয়া যাবে না তা নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা। তবে দেখা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বহরমপুরে আসেননি তৃণমূল সাংসদ। আর এবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলেরই বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। তাঁর প꧋রামর্শ, ইউসুফ জয়ী হꦉয়েছেন। এবার তাঁর উচিত এলাকায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা।
আরও পড়ুন: জমি দখলের অভিযোগে পুরসভার নোটিশ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ♍্ধে, আদালতে গেলেন TMC সাংসদ
রেজিনগরের ফরিদপুরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেনাপতি মীরমদনের মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন কবীর। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউসুফ পাঠানের প্রসঙ্গ তুলে হুমায়ূন জানান, ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে ৫ তারিখ গুজরাটে চলে গিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। তারপর তিনি আর এখানে আসেননি। হুমায়ূনের বক্তব্য, তাঁকে এলাকার মানুষ ভোটে জিতেছেন। এখন নিজের এলাকায় এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাওয়া ཧপাওয়া জানা উচিত ইউসুফের।
হুমায়ূনের দাবি, ভোটারদের অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন ইউসুফ কবে এখানে আসবেন। সেই প্রশ্ন শুনতে শুনতে কার্যত হুমায়ূন যে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন সে কথাও এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য♓, কেন তিনি ভোটারদের এ বিষয়ে জবাবদিহি করবেন। এ প্রসঙ্গেই এদিন আবারও জেলায় দলের একাধিক নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, তিনি এমন একটা জেলায় বাস করেন যেখানে দলের ꧋কাউকে তিনি পাশে পান না। সকলেই তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারেন। রেজিনগর বিধানসভা এলাকায় ঠিকমতো উন্নয়ন হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন। এরজন্য সেখানকার বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে নিশানা করে হুমায়ূন বলেন, বিধায়ককে সব কাজে পাওয়া যায় না।