সম্প্রতি দামোদর নদে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে বলে দাবি করা হল। উল্লেখ্য, রিপোর্টে বলা হচ্ছে, দুই দশক পরে দামোদর নদে ফের ইলিশ মাছের দেখা মিলেছে। এই আবহে হইচই পড়ে যায়। যে একটি মাছ জালে জড়িয়েছে, সেটিকে নিলামে তোলা হয়। এদিকে দামোদরের মিষ্টি জলে কীভাবে ইলিশ মাছ চলে এল, তা নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে বিস্তর। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দামোদর নদে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছিল। এই আবহে শুক্রবার সকালে দামোদরের ইলিশ দেখতে ভিড় জমে যায় জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের আড়তে। (আরও পড়ুন: ধর্মཧতলায় প্রতিবাদ মঞ্চ ঘিরে চরম নাটক বৃষ্টিস্নাত রাতে! তাওꦏ দমলেন না ডাক্তাররা)
আরও পড়ুন: একাকিত্বে ভুগছে সঞ্জয়, আরজি কর কাণ্ডে ধৃতকে নিয়ে আদালতে বড় দা𒆙ꦆবি আইনজীবী কবিতার
আরও পড়ুন: 'প্রমাণಌ মিলেছে...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে মুখবন্ধ খাম জমা করে বড় দাবি CBI-এর
রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ইলিশ মাছটি ধরা পড়ে, সেটি প্রায় ১ কেজি ওজনের। সেই একটি মাছের জন্যে জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের আড়তে নিলাম ডাকা হয়েছিল। জানা যায়, তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে এই ইলিশটি ধরা পড়ে। নিলামে ইলিশের দর হাঁকা শুরু হয় ১২০০ টাকা থেকে। শেষ পর্যন্ত ২১০০ টাকায় সেই ইলিশ বিক্রি হয়। জামালপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস সেই ম🌠াছটি কেনেন। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, জামালপুরের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারে দাবি, প্রায় ২০ বছর আগে দামোদরে ইলিশের দেখা মিললেও গত ২ দশকে এই প্রথম নদে ধরা পড়ল রুপোলি শস্য।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ডিভিসির বাঁধ থেকে জল ছাড়ার জেরে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই আবহে নোনা জল থেকে মিষ্টি জলে 𝓡ডিম পাড়তে আসা ইলিশ দামোদর নদে চলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মৎ🧸স্যজীবীদের দাবি, ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে। এই আবহে একটি মাছ ধরা পড়েছে মানে আরও মাছ শীঘ্রই আসতে পারে। এই আবহে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।
এদিকে দেব না দেব না কর꧃েও ভারতে সেই ইলিশ মাছ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ভারতে এসেছে রুপোলি শস্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীদের ভারতে ইলিশ রফতানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নয়া অন্তরবর্তী সরকার এসে প্রথমে বলেছিল, এবছর ভারতে ইলিশ পাঠা🃏নো হবে না। পরে নিজেদেরই বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে টান পড়ায়, একপ্রকার বাধ্য হয়েছে ২৪২০ টন ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেয় ইউনুসের সরকার। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২০০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩৭ টাকা)। ভারতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২৪০০ টন ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রফতানি করবে বলে কথা হয়েছে। এদিকে দীপাবলি শেষ হওয়ার পরে ভাইফোঁটায় পদ্মার ইলিশ আর আসবে না এপার বাংলায়।