শুক্রবার আরজি কর কাণ্ডের মামলার শুনানি হয় শিয়ালদা আদালতে। সেখানেই ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেনারেল ওয়ার্ডে থকতে দেওয়ার আবেদন জানান তার আইনজীবী। দাবি করা হয়, সঞ্জয় একাকিত্বে ভুগছে। এর জেরে তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে বদলি করার আবেদন জানানো হয়। এদিকে গতকাল আদালতে মুখবন্ধ খামে বিচারককে মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জনসমক্ষে প্রকাশ না করে সিবিআই জানায়, ধৃতদের জামিন দেওয়া হলে মামলায় প্রভাব খাটানো হতে পারে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধৃতরা জেনে গিয়েছেন। এই আবহে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করে সিবিআই। (আরও পড়ুন: ধর্মতলায় প্রতিবাদ মঞ𒁏্চ ঘিরে চরম নাটক বৃষ্টিস্নাত রাতে! তাও দমলেন না ডাক্তাররা)
গতকাল আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীরা দাবি করেন, শুধু প্রভাব খাটানোর কথা বলে জামিন আটকান൩োর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা তো জামিনযোগ্য। এদিকে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ♔ছাড়া টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আজ দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলিও জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে তাঁকে অযথা আটকে রাখা হয়েছে।
গতকাল শুনানি চলাকালীন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সিবিআই ধরেই নিয়েছে যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হবে না। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা তো জামিনযোগ্য। তাঁর সওয়াল, ‘সিবিআইয়ের যেটা মনে হয়, সেটা আমাদের বলতেꦫ হবে। অভিজিতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি সিবিআই এনেছে সে সবগুলিই জামিনযোগ্য।’ তবে মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট নিয়ে সিবিআই আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, 'অভিযুক্তপক্ষ যাই বলুক, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সেই মামলায় বেশি কিছু প্রকাশ্যে আনা যাবে না।'
ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজত রাখার আবেদন করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এখন জামিন দেওয়া হলে সেসবে👍র উপর প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা থাকবে। তবে এই নিয়ে অভিজিৎ মণ্ডল নিজে আদালতে বলেন, ‘সিবিআই প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করছে। ওরা টালা থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল। তার ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করেছে। আমি টালা থানার ওসি ছিলাম। কিন্তু সেখানে সিসিটিভি নষ্টের কোনও অভিযোগ তো নেই।’ যদিও শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ও অভিজিৎকে জামিন দেয়নি আদালত।