বৃহস্পতিবার নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠ🍒ন হলেও এখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেক বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে আসতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখত🐻ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। তবে সমুদ্রপথেও যাতে কোনও বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, তা নিয়ে এবার মৎস্যজীবীদের সতর্ক করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। সমুদ্রে ভারতীয় জলসীমায় অচেনা জাহাজ দেখলেই প্রশাসনকে খবর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
আরও পড়ুন: আমার বাসায় হামলা কেন? প্রশ্ন বাংলাদেশের হিন্দুদের, উদ্বেগে আরএসএস, আর্জি শাহক🐼ে
অভিযোগ ওঠে যে সমুদ্রে প্রায়ই বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা ভারতীয়💎 জলসীমা অথবা ভারতের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাছꦏ ধরার সময় পৌঁছে গিয়ে থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা প্রত্যেকেই যেন সঙ্গে করে পরিচয়পত্র রাখেন।
শনিবার সকাল থে൲কে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে মৎস্যজীবীদের এই মর্মে মাইকিং করে সতর্ক করতে দেখা যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। তাতে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র রাখার পাশাপাশি মাছ ধরার আসল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই সঙ্গে সমুদ্রে কোনও অচেনা জাহাজ দেখলেই যাতে দ্রুত প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন🔥েক ক্ষেত্রেই সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা একে অপরকে সাহায্য করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আধিকারিকরা সতর্ক করেছেন, যে নিজ থেকে জলসীমায় কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে বিপদে পড়তে পারেন। জানা গিয়েছে, উপকূল রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে মৎস্যজীবীদের সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে একথা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার ফোটোকপি করা নথিপত্র সঙ্গে রাখতেন। তাও আবার একজনের কাছেই থাকত সেই নথি। কিন্তু এবার বলা হচ্ছে যে আসল পরিচয় রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই ফোটোকপি করা নথিপত্র ম♋েনে নেওয়া হবে না। বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রত্যেকের কাছে নথিপত্র থাকতে হবে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে, ভারতের জনলসীমায় কেউ ভিতরে আসতে চাইলে তাঁরা যেন দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগায✤োগ করেন।