কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্ধারিত দিনেই হয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থাভোট। আজ, শনিবার সেই আস্থাভোটে জয়ী হয়ে প্রাক্তনই নতুন চেয়ারম্যান হয়ে বর্তমান হলেন। হ্যাঁ, তিনি সুরেশ আগরওয়াল। এদিন এই নির্বাচনে ৬ জন অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু দেখা যায়, সর্বসম্মতিক্রমে সুরেশ আগওয়ালকেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই পুরপ্রধান ♚নির্বাচনকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়। আজ, শনিবার ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচন সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। সেখানেই প্রাক্তন জয়ী হয়ে বর্তমান হন।
এদিকে ঝালদা পুরভবনের সভাতে তৃণমূল ক🌞ংগ্রেসর বিক্ষুব্ধ ৫ জন কাউন্সিলর এবং কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল উপস্থিত ছিলেন। শীলার প্রতি অন🌺াস্থায় সম্মতি জানালেও সভায় আসেননি পূর্ণিমা কান্দু। সুরেশ আগরওয়াল দাবি করেন, ৬ জন এদিন সভায় ছিলেন। সকলের সম্মতিতে তাঁকে পুরপ্রধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ ছিলেন না অপসারিত পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামী কাউন্সিলররা। চেয়ারম্যান হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুরেশ আগরওয়াল বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ আস্থাভোট হয়েছে এবং আমিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেই। শপথ পরে নেব।’
অন্যদিকে ঝালদা পুরসভায় দলཧবদলের সমীকরণে বারবার বোর্ড তৈরি হয়েও ভেঙে যায়। ১৭ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করেন দলের পাঁচজন ও কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর। কংগ্রেস–তৃণমূলের অলিখিত জোটে সাত–শূন্য ভোটে অপসারিত হন শীলা। পুরপ্রধান অপসারিত হয়েও চেয়ার আঁকড়ে বসে থাকেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। যে তলবি সভায় তাঁকে অপসারিত করা হয় সেটাকে তিনি অবৈধ বলে মনে করেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ ফেব্🐠রুয়ারি আস্থাভোট এবং নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুতেই ২৪৬ জন ছাত্রী অনুপস্থিত, 𒁏তদন্তে নামল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
এই ঘটনায় ঝালদা পুরসভা আরও একটা🍸 নতুন নাটক দেখল। আজ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন ৫জন কাউন্সিলর—বিপ্লব কয়াল, জবা মাছোয়াড়, সুদীপ কর্মকার, পূর্ণিমা বাগদি, রিজওয়ানা খাতুন। এঁদের সমর্থনেই আজ পুরপ্রধান হন সুরেশ আগরওয়াল। আগে সুরেশ আগরওয়ালকে দলীয় হুইপ অমান্য করার জেরে তাঁকে সরানো হয়েছিল। এবার নতুন করে ঝালদা পুর🃏সভা চেয়ারম্যান পেল। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘ঝালদার বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় স্তরে আলোচনা করছি। প্রত্যেক কাউন্সিলরকে হুইপ জারি করা হয়েছিল। সেটা কারা মানেননি এবার দেখতে হবে।’