কালীপুজো শেষ হতেই তেতে উঠল জয়নগর। আজ, সোমবার দুষ্কৃতীর গুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি খুন হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে,💎 আর একটু হলে বগটুইয়ের মতো গণহত্যা দেখা দিত। প্রায় ১৫–২০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এখানে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, কে এই সইফুদ্দিন? কেমন করে উত্থান এই তৃণমূল নেতার? কতটা প্রভাব ছিল এলাকায়? তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুন হতেই পাল্টা এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। ফলে টানটান উত্তেজনা রয়েছে অকুস্থলে।
এদিকে সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩) আগে সিপিএম করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। আর পাকাপাকিভাবে কাস্তে হাতুড়ি তারা ত্যাগ করে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। অথচ বগটুইয়ের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু অন্য কারও ঘাড়ে দোষ চাপাবার কোনও মানে হয় না। অন্তর্দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে সিপিএম কর্মী–সমর্থকদের নিশানা ༒করেছে শাসকদল।’
অন্য꧟দিকে আগে এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুহু🎃রির কাজ করতেন। স্থানীয় ডাকঘরেও কাজ করতেন। এলাকায় সইফুদ্দিনের বহু অনুগামী থাকায় যে কোনও সমস্যায় তিনি এগিয়ে যেতেন। তার ফলে অল্পদিনেই তৃণমূল কংগ্রেসের নির্ভরযোগ্য কর্মী হয়ে ওঠেন সইফুদ্দিন। ২০১৮ সালে স্ত্রী সেরিফা বিবিকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান করেন। এবারের নির্বাচনে তিনি নিজেও প্রার্থী হয়েছিলেন। জয়নগর এলাকায় মোট ছটি পঞ্চায়েতে তাঁর প্রভাব ছিল। এলাকার বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন দাবি করেন, ‘তৃণমূল নেতা খুনের পর জনরোষেই হামলা।’
আরও পড়ুন: ‘এন্ট্রোপিয়ান আইলি🅺ড’ সমস্যায় ভুগছিল স্নো লেপার্ড, সফল অস্ত্ꦦরোপচার শৈলশহরে
♑তবে জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের শুটআউটের পর ঘটনাস্থল মরিশ্বর বাঙাল বুড়ির মোড় পরিদর্শন করলেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাঘারিয়া। ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ বাসিন্দা, পুলিশ সুপার, জয়নগর থানার আইসির সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সিদ্ধিনাথ গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘খুনিদের দ্রুত ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এখনই সবটা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখ🐟া হচ্ছে। সিআইডির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’