নদিয়ার রানাঘাটে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। এদিন রানাঘাটে প্রয়াত ছাত্রের মামাবাড়ি যান তিনি। সেখানে ছাত্রের মা ও বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এর পর তিনি জানান, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসোর ধারা প্রয়োগের সুপারিশ করবে কমিশন। সঙ্গে এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করবেন তাঁরা।এদিন নিহত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন অনন্যা চক্রবর্তী। এর পর বাবা ও পরিবারের সদস্যদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, যাদবপুরের প্রয়াত ছাত্র নাবালক ছিলেন। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসোর ধারায় মামলা করার সুপারিশ করব। এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ড বা ফাঁসি হতে পারে। গোপনীয়তার স্বার্থে ছাত্রের ছবি ও নাম দয়া করে কেউ ব্যবহার করবেন না। নিহত ছাত্রকে অমানসিক মারধর করা হয়েছিল। ওর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের তরফে। ওর গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। তাই এটা একটা নাবালক যৌন হেনস্থার ঘটনা।তিনি আরও বলেন, আমি আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। সেখানে গিয়ে আমি রেজিস্টার দেখতে চাইব। রেজিস্টার যদি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গুরুতর গাফিলতি হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি দেশের আইনের বাইরে?তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশ ও আচার্যের কাছে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।