আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবি সহ নিরাপত্তা ও একাধিক দাবিতে পূর্ব ঘোষণা মতোই রবিবার প্রতীকী অনশনে বসলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে, শনিবার রাত থেকেই ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। তারমধ্যেই এবার প্রতীকী অনশনে বসলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়ররা। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা এই অনশন চালাবেন। তবে দাবি পূরণ না হলে রিলে অনশন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।&ไnbsp;
আরও পড়ুন: উৎসবꦯে নয় বিক্ষোভে থাকতে আমরণ অন♚শনে ৬ ডাক্তার, আপাতত নেই আরজি করের কেউ
শনিবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে উত্তরবঙ্গের জুনিয়ররা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা সোমবার থেকে কাজে ফিরবেন। তবে তার আগে রবিবার ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করবেন। সেইমতোই এদিনের অনশন জুনিয়রদের। সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ১৭ জন জুনিয়র ডাক্তার প্রতীকী অনশনে বসেন। মূলত আন্দোলন জিইয়ে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত জুনিয়রদের। এদিকে শনিবার রাত থেকে কলকাতার ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। আরজি কর-কাণ্ডের দ্রুত বিচার, থ্রেট কালচার বন্ধ করা-সহ মোট ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার। আগামীকাল সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে কাজ শুরু করার পাশাপাশি আমরণ অনশনের সিদ্ধান্♐ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
শনিবার রাতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন। তবে আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেন ভিন্ন পথে। সেটা হল আমরণ অনশন। এদিন সকালেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক প্রতিকী অনশনে বসেন। তাঁরা জানান, সোমবার সকলে কাজে যোগ দেবেন তবে ওই দিন কাজে যোগ দেবেন না দু’জন জুনিয়র ডাক্তার । আজ♑কের প্রতীকী অনশনে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে ২ জন আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কৌস্তুভ চক্রবর্তীর কথায়, রোগীর কল্যাণ ও স্বার্থের কথা ভেবে জুনিয়ররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। তবে এই আন্দোলন বিভিন্নভাবে চলবে যতদিন না দাবি পূরণ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জুনিয়রদের কর্মবিরতির জেরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রোগী প⛎রিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল রোগীদের মধ্যে। দূরদূরান্ত জেলা থেকে এসেও চিকিৎসা পরিষেবা মিলছিল না। তারপরেই জুনিয়রের এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে ৬০ জনেরও কিছু বেশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরা (পিজিটি) রয়েছেন। তবে এরমধ্যে কিছু আন্দোলনে থাকবেন বাকিরা কাজে যোগ দেবেন। যদিও কারা কাজে থাকবেন বা কারা অনশনে💃 থাকবেন সেবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক।