বিচারবুদ্ধি তো প্রয়োগ করতেই হয়। তবে আদালতকক্ষে আবেগের উপরও ভরসা রা💖খেন। এমনটাই জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপ♋াধ্যায়। সেজন্যই ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস যাতে চাকরি পান, তার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে সফলও হয়েছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দে বলেন, ‘'ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ে রাস্তায় বসে, আর আমি এখানে চেয়ারে বসে! আমি তাকে (সোমা) ডেকে পাঠালাম। এক স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করলাম। বললাম, তাকে (সোমা) ডেকে আনুন। ও (সোমা) এল। আমি বললাম, অন্য কোনও চাকরি করবে? ও বলল যে আমি স্কুলের চাকরিই করব। (আমি বললাম), তাহলে তো আমার কিছু করার নেই। তোমার অসুস্থতার কথা শুনে আমি তোমার জন্𝓀য কিছু করে দিতে চেয়েছিলাম। সে চলে গেল। পরদিন নিজে একটা মামলা করল।’
আরও পড়ুন: SSC: দীর্ঘ আন্দো🌼লনের পর কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ꧅শিক্ষকতার চাকরি পেলেন সোমা
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘তখন (মামলার পরে) আমি মুখ্যমন্ত🦂্রীকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছুটা ইঙ্গিত করেই সরাসরি অনুরোধ করলাম, একে (সোমা) একটা (চাকরি) দিয়ে দিলে ভালো হয়, এরকম অবস্থা। যদি দেওয়া না হয়, তাহলে আপনারা জানিয়ে দেবেন, কেন দেওয়া হল না। (কারণ জানাতে বলা হওয়ায়) 😼একটা চাপ বজায় থাকল।’ সেইসঙ্গে সরকারের তরফে সোমাকে চাকরি দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সোমা দাস সে?
মাসকয়েক আগে সোমার জীবনযুদ্ধের কাহিনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। মেয়ো রোডে গান্꧑ধীমূর্তির পাদদেশে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে দেখিয়েছিলেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সোমা-সহ তাঁদের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠে। সেইসময় অন্য কোনও সরকারি দফতরে চাকরির পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
যদিও সোমা জানিয়েছিলেন, শয়ে-শয়ে প্রার্থীর সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। উনি আমার কষ্ট বুঝেছেন। কিন্তু শিক্ষক হওয়া আমার স্বপ্ন। আজ নিয়োগপত🥀্র নিলে হয়ত একটা চাকরি পাব, কিন্তু স্বপ্নপূরণ হবে না। চাকরি হলে আমাদের সবার হবে। একা চাকরি নিয়ে এই লড়াই থেকে সরে যেতে চাই না।’
আরও পড়ুন: ক্যানস🐠ারে আক্রান্ত আন্দোলনরত সোমাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের
তারইমধ্যে সোমাকে চাকরি প্রদানের বিষয়টি নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছিল। সেখানেই সোমাকে চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। তারপর 🍸নলহাটির মধুরা হাইস্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন সোমা। তবে তিনি বলেছিলেন, ‘চাকরি নেব, তবে আন্দোলন চলবে।’