আজ কালীপুজো♔। কিন্তু তার প্রাক্কালে রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আসানসোলের ৩০ ফুটের কালীপ্রতিমা। ৩০ ফুটের কালীপ্রতিমা এভাবে পড়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত পড়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে কারিগর থেকে পুজো উদ্যোক্তারা শুরু করেছে কান্নাকাটি। কেমন করে পড়ে গেল বুঝে উঠতে পারছেন না কারিগররা। অন্য মূর্তি এনে কালীপুজো হবে এবং মেলাও হবে বলে অবশেষে জানালেন উদ্যোক্তাদের মধ্যে থাকা সদস্য তাপস ঘোষ। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার জেরে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। তাতেই ঠিকমতো শুকোয়নি প্রতিমা। তার ফলে এমন বিপত্❀তি ঘটেছে।
আসানসোলের গোপালনগর ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে ৩০ ফুটের কালী প্রতিমা এখানে করা হয়। পাশাপাশি খেলার ওই মাঠে মেলার আয়োজনও করা হ🌟য়। একসপ্তাহ ধরে এই গোপালনগর এলাকা জমজমাট হয়ে থাকে। নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আসানসোল ছাড়াও বহু মানুষ কালীপুজোর সময় আসেন এই পুজো মন্ডপে এত বড় প্রতিমা দেখতে। শহর থেকে মানুষ আসেন এখানে কালীপুজো দেখতে এবং ঘুরে বেড়াতে। তার ফলে কালীপুজোকে কেন্দ্র করে একটা পর্যটনের বাতাবরণ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক লেভেলের ব্যাপার ছিল না’, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মিত্র মদনের
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতি সবাই মানিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোনও কারণেই যেন কালীপুজো বন্ধ না হয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে। কালীপুজোর এক উদ্যোক্তা তাপস ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মন খুব ভারাক্রান্ত। এমন ঘটনায় চোখে জল চলে এসেছে। তবে মায়ের পুজো তো বন্ধ হতে পারে না। আমরা স🎃কলে মিলেই নতুন উদ্যমে মায়ের পুজো করব। স্থানীয় মানুষজনের তেমনই অনুরোধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই ঘটনার অন্যতম কারণ।’
কিন্তু কালীপুজোর ঠিক একদিন আগে রাতে এভাবে কালী প্রতিমা পড়ে যাওয়া রীতিমত হতাশ ও দুঃখ দিয়েছে ক্লাবের সদস্যদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘এই বছর ৩০ ফুটের কালী প্রতিমা দেখার সুযোগ হবে না। কিন্তু মেলা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অন্য বড় প্রতিমা নিয়ে এসে পুজো করা হবে। সবাই যেন আমাদের পাশে থাকেন সღে আবেদন করছি।’ ইতিমধ্যেই কালীপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। অন্য একটি মূর্তিও আনা হয়ে গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সেখানে জমজমাট ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ভোগ খাওয়ানো হবে।