উত্তরবঙ্গে শিয়ালদ🐠হগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে ধাক্কা মারল মালগাড়ি। এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৩০ জন আহত বলে খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা যে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া কামরার মধ্যে থেকে আসছে গোঙানির শব্দ। সকালে ট্রেনে তখন প্রাতঃরাশের খাবার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্ট💦েশন ছেড়ে গ্রামের বুক চিরে যাওয়া রেললাইন দিয়ে এগোচ্ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। হঠাৎ প্রবল কাঁপুনি। একাধিকবার সজোরে ব্রেক কষলেন চালক। তাতে কেঁপে ওঠে ট্রেন। আর বিকট শব্দ করে দাঁড়িয়ে যায়। বাইরে বেরিয়ে ভয়াবহ ঘটনা দেখলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী সুকান্ত মজুমদার।
সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটো বগি লাইনচ্যুত হয়। 💝আর ছিটকে উল্টে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের পিছনের দিকের কামরা। যাত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে এগিয়েছে ট্রেন। হঠাৎ একটা প্রবল ঝাঁকুনি সব যেন নাড়িয়ে দিল। আমার পিছনের চারটে বগি প𓂃ুরো শেষ হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ মারা যেতে পারেন। কতজন মারা গিয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। টিকিট কনফর্ম ছিল না বলে আমি একটা বগিতে ছিলাম। এখন অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে পরপর। অনেককে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমন হাড়হিম করা ঘটনা আগে দেখিনি।’
আরও পড়ুন: তুম🃏ুল গুলির লড়াইয়ে নিকেশ চার মাওবাদী, ঝাড়খণ্ডে পুলিশের অপারেশনꦺে গ্রেফতার দুই
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলেন ওই ট্রেনের যাত্রী শ্রুতিরাজ রায়। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়িতে। আর একটা জরুরি কাজ নিয়ে মালদা যাচ্ছিলেন তিনি। এই ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকে তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা এ🦄স–৩ বগিতে ছিলাম। মালদা যাচ্ছিলাম কাজ করার জন্য। হঠাৎ ট্রেন তিনবার সজোরে ব্রেক কষল। ভীষণ জোরে কেঁপে উঠল গোটা ট্রেন। তারপর প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পꦿেলাম। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে গেল। বাইরে বেরিয়ে দেখি মালগাড়ি পুরো শেষ। পার্সেল ভ্যানটা একটার পর একটা উপড়ে গিয়েছে। আর একটা জেনারেলন বগি দুটো ট্রেনের মাঝে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে। মনে পড়ল তখন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কথা।’
উদ্ধারকারীদের চিন্তা বাড়ছে। কারণ কামরাগুলির ভিতর থেকে যাত্রীদের গোঙানির শব্দ আসছে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এনডিআরএফ–সহ রেলের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। গ্যাস কাটার ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে বলে ম্যানুয়ালি উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। আপাতত ৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ। তবে রেলের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা ২ জানানো হয়েছে। যে বগিটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে, সেটি অসংরক্ষিত ꦚছিল। সেই বগি থেকে উদ্ধারকার্য করা সমস্যা হচ্ছে।