রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই আইএস জঙ্গি কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বলে তথ্য পেয়েছে এনআইএ। কাঁথি এলাকায় গা–ঢাকা দেওয়ার সময় পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে দুই জঙ্গি আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব দেখা করেছিল বলে নয়া তথ্য পেল গোয়েন্দারা। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক জোগাড় করার জন্য তারা ওই শ্রমিকদের সাহায্য নিয়েছিল বলে তথ্য পেয়েছ✅েন গোয়েন্দারা। যদিও বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল জঙ্গিরা ডার্কওয়েব থেকে কিনেছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর। কোন সাইটে গিয়ে কাঁচামাল কিনেছিল মোজাম্মেল তার তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
এদি♏কে আব্দুল যে কোনও ধরনের আইইডি তৈরি করতে দক্ষ। সꦐিরিয়ায় আইএসের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ তাকে আইইডি তৈরি করতে শেখায় অনলাইনে। মতিনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আইইডি তৈরির জন্য নতুন ল্যাব খোলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল। জায়গা দেখেছিল আবদুল। কাঁথির একাধিক হোটেলে ছিল তারা। এগরায় আইএসের এক পাণ্ডার সঙ্গে তাদের অনলাইনে কথাও হয়। কাঁথি থেকে বাসে করে এগরায় গিয়ে তারা ওই পাণ্ডার সঙ্গে দেখা করে। ওই পাণ্ডা কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকেই বাড়ি ফিরেছিল ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। তারপরই ওই দুই জঙ্গির সঙ্গে পরিচয় হয়।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনার কবলে বারাসতেꦰর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, কাকলির মাথায় গুরুতর চোট
অন্যদিকে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রায়াসনিক তৈরির একাধিক কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ ছি🔜ল। ঝাড়খণ্ডের একাধিক রাসয়নিক কারখানার সঙ্গে মোজাম্মেলের যোগের প্রমাণ পেয়েছে এনআইএ। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে এনআইএ’র হাতে গ্রেফতার হওয়া আবদুল মতিনকে জেরা করলেও সে স্পষ্টভাবে তাদের নাম–পরিচয় বলতে পারেনি। এমনকী ওই বিস্ফোরক সংগ্রহের কাজ করতে এমন যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে ধৃত। তবে এনআইএ আরও তদন্ত করছে।