ঝড়ের আগেই আসেন কান্তি। আয়লা, আমফান, ইয়াস, এবার রেমাল। সেই চেনা ছবি। সুন্দরবনের ঝড় মানেই যে মানুষটা দুর্গতদের পাশে সর্ব⛦শক্তি নিয়ে দাঁড়ান তিনি আর কেউ নন। তিনি কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বাম জমানা থেকে বর্তমান তৃণমূল জমানা। কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায় তাঁর কর্তব্য থেকে এতটুকু 🍌সরে যাননি।
সেই বাম জমানা আর নেই। বামেদের সেই দাপটের লেশমাত্র আর নেই। তবে কান্তি গাঙ্গুলি কিন্তু আজও যান সেই মানুষদের কাছে। সেই বিপন্ন মানুষদের কাছে আজও ছুটে যান 🌟কান্তি।
বাম জমানাতে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আর বিধায়ক বা মন্ত্রী নন। আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। তবু বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিন꧂ি দ্বিতীয়বার ভাবেন না।
এবারও রেমাল আসার আগেই কান্তি পৌঁছে গেলেন রায়দিঘিতে। রায়দিঘির কুমোড়পাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি করা হয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। গ্রা♈মের মানুষের সঙ্গেই খোঁজখবর নেন।
সারা দিন অঝোরে বৃষ্টি। কলকাতা শহরের অনেকেই নিরাপদে গৃহকোণে। আর ছাতা মাথায় দিয়ে সুন্দরবনের রাস্তায় যে মানুষটি দাঁড়িয়ে রয়েছেন൩ তিনি আর কেউ নন, কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বয়স হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতাও অস্তমিত। তাতে কিཧ!
ওই যে কথায় আছে না ঝড়ের আগে আসেন কান্তি। তিনি তো এসেই গিয়েছেন। ঝড় আসবে বলে যে মানুষগুলির রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল তাঁদের মনে ফিরল মনোবল। এসে গিয়েছেন কান্তি গা🍎ঙ্গুলি। নদীর পাড় ধরে হেঁটে চলেছেন ক্লান্তিহীন কান্তি। এই নদী, এই বাদাবন, এই ম্যানগ্রোভ, এই মাটির রাস্তা, আর সর্বোপরি এই🦩 মানুষগুলিকে বহুদিন ধরে চেনেন কান্তি। এই মানুষগুলির পাশে সবসময় থাকার চেষ্টা করেছেন কান্তি। এবারও রয়েছেন তিনি। সর্বশক্তি নিয়ে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এবারও।
আমফান, বুলবু🐲ল, ইয়াস একের পর এক ঝড় নাড়িয়ে দিয়েছে সুন্দরবনকে। কিন্তু একবারও বাড়িতে বসে থাকেননি কান্তি গাঙ্গুলি। কাদামাখা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেছেন কান্তি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত ৩০ বছর ধরে সুন্দরবনের ঝড় ঝঞ্ঝার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। ২০০৯ সালের ২৬ মে আয়লা আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবনের বুকে। আজ🦩ও সেই ২৬শে মে। আমি তো সরকারে নেই। তাই আশেপাশের মানুষের সাহায্য নিয়ে যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।