পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বাইরে তখন প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আয়েশা খাতুন, বিদিশা চক্রবর্তী–সহ জ𓃲না দশেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। হঠাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও অন্তঃসত্ত্বাকেই ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন। একরকম রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বর্তমানে মোট ৬০টি বেড রয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি হয়েছে এই হাসপাতালের পরিকাঠামোর। কিন্তু তার পরও এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালে চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। রোগীকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে বলা হয়। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর পর𒈔িবারের লোকজন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী।
এরই মধ্যে অশান্তি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ১০ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ে প্রতিদিন ১০–১𝔉৫ জন প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকেও রোগীরা আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু তার পরও এদিনের ঘটনা বিরল বলেই মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নবারুণ গুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, এদিন যাঁরা হাসপাতালে এসেও ভর্তি হতে পারেননি তাঁদের পরিবারের💛 সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই অন্তঃসত্ত্বাদের এই হাসপাতালেই ভর্তি করা হবে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কেন? কেন এদিন সকালে ভর্তি নেওয়া হল না প্রসূতিদের? সুপারের জবাব, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রসূতিদের ভর্তির সময় কিছু একটা সমস্যা দেখা দেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’