স্🍬বামী-সহ তাঁর হাত কেটে নেওয়ায় অভিযুক্তদের জামিনে আতঙ্কিত তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের তরুণী রেণু খাতুন। তাঁর আশঙ্কা, ফের হামলা হতে পারে তাঁর ওপরে। কেন অভিযুক্তরা জামিন পেল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন 🍸তিনি।
কাটা হাত জোড়া লাগানো সম্ভব না হ🌠লেও সরকারি চাকরি পেয়েছে♚ন রেণু। ঘটনার পরই জানিয়েছিলেন, স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চান তিনি। কিন্তু অভিযুক্তরা এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যাওয়ায় হতবাক তিনি। রেণু বলেন, ‘আমার ভয় করছে। কী করে ওরা এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে গেল? পুলিশি তদন্তে কোনও গাফিলতি থাকতে পারে। আমার ওপর আবার হামলা হতে পারে।’ তবে কি পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইবেন তিনি? জবাবে রেণু বলেন, সেব্যাপারে এখনো ভাবিনি।
গত ৪ জুন রাতে কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বধূ রেণু খাতুনের হাত কবজি থেকে কেটে ফেলেন তাঁর স্বামী। স্বামী শের মহম্মদকে সহযোগিতা করেন তাঁর এক তুতো ভাই ও মুর্শিদাবাদ থেকে ভাড়া করা ২ দুষ্কৃতী। গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বধূকে চেপে ধরেন কয়েকজন। বাকিরা চপার দিয়ে কবজি থেকে তাঁর ডান হাত কেটে নেন। ঘটনার পর জানা যায়, দিন কয়েকের মধ্যেই সরকারি চাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚকরিতে যোগদান করতে চলেছিলেন রেণু। স্বামী শের মহম্ౠমদের আশঙ্কা ছিল, চাকরি পেলে তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না স্ত্রী। সেই আশঙ্কা থেকেই স্ত্রীকে সরকারি চাকরিতে যোগদানে বাধা দিতে হাত কেটে নেন তিনি।
সব দলেই খারাপ লোক থাকে, তাই বলে পুরো দলটাকে খারাপ বলা যায় না কি? শোভনদেব
ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত স্বামী। এর পর একে এ⛦কে গ্রেফতার হয় বাকি অভিযুক্তরা। গ ৩০ জুন, ঘ🎃টনার ১ মাসের মধ্যে কাটোয়া আদালতে ৪১৮ পাতার চার্জশিট পেশ করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
এরই মধ্যে খবর পেয়ে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। নার্সিংয়ের বদলে অন্য দফত🌜রি কাজে রেণু খাতুনকে নিয়োগপত্র দেয় রাজ্য সরকার। পূর্ব বর্ধমানে গিয়ে রেণুর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আস্থা জোগান। জেলা পরিষদের উদ্যোগে রেণুর কৃত্রিম হাত তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় রেণুর স্বামী শের মহম্মদ💯সহ ৪ অভিযুক্তকে জামিন দেয় কাটোয়া আদালত। আর তার পর থেকেই ফের হামলার আশঙ্কায় ভুগছেন রেণু খাতুন।