রাত পোহালেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বুধবার শেষ হয়ে গিয়েছে প্রচার। তবে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়দহ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কর্ণমাধবপুর। এখানে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়েই তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এমনকী এই ঘটনায় ঘোলা এবং রহড়া, দুটি থানাতেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।আর কয়েক ঘন্টা বাকি উপনির্বাচন শুরু হতে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করাই এখন লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয়েছে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উলটো দিকে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। খড়দহও বিধানসভা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে ধরা হয়েছে। তাই খড়দহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু রাতে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আড়ালেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়দহ। এখানে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস রাতে বিজেপি কর্মী বিশাল সিংয়ের উপর হামলা করেছে। তিনি তখন বাড়ি ফিরছিলেন। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাছে কর্ণমাধবপুরে হামলা করা হয়। তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর কর হয়। মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। আহত অবস্থায় রাস্তায় তাঁকে ফেলে দিয়ে সকলে পালিয়ে যায়। আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় দলের সহকর্মীরাই।এই ঘটনায় বিজেপি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। খড়দহের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্বাচন কমিশনেও নালিশ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা পরিকল্পিতভাবে বিজেপিই করেছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এখানে জিততে পারবে না। তাই এভাবে সহানুভূতি কুড়াতে চেয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে জড়িত নয়।