অগস্ট মাসের ঘটনা। কম্পিউটার কেনার টাকা সংগ্রহের জন্য মুক্তিপণ হিসাবে এক নাবালক অপহরণ করেছিল তিন নাবালক।🐟 তার তাকে হত্যা করে তিনজন। শ্বাসরোধ করে খুন করে নাবালকটিক লাশ একটি পুকুরের জলে ফেলে দেয় তারা। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘুরনিতে এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়
তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত করতে দ𝓀িয়ে হতবাক তদন্তকারী অফিসাররা। ধৃত তিন নাবা𓆏লক এবং যাকে খুন করা হয়, তিনজনই একই স্কুলে পড়ত।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে꧅, শ্বাসরোধ করে খুন করার আগে আক্রান্তকে রসগোল্ඣলা এবং কোল্ডড্রিংস খাওয়ায় তিনজনে।
ঘটনার পরও ভুক্তোভোগীদের কোনও অনু🌼শোচনা ছিল না। এই আচারণ অবাক করেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। গ্রেফতাꦯর হওয়ার পর তারা শান্তভাবে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে।
জিজ্ঞাবাদে ধৃতরা বলে, তারা নাবালককে অপহরণ করে।﷽ তারপর তাক মাকে ফোন করে। ফোন করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়।
তারা জানতে পারে পণবন্দি নাবালকের মা পুলিশে খবর দিয়েছে। তারা তখন পড়ুয়াটিকে প্রথমে শ্বাস রোধ খুন করে। তার পর তাকে পুকুরের জলে লাশ ফেলে দেয়।ℱ খুনের আগে তাকে রসগোল্লা ও কোল্ড ড্রিংস খাওয়ায়।
এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তা বলেন, ‘আমরা ওদের কথা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলান। যা করে🤪ছে তার জন্য কোনও অনুশﷺোচনাও ছিল। তারা অকপটে অপরাধ স্বীকার করে।’
তিনি বলেন, অভিযুকꦏ্তরা স্বীকার করে, তারা যখন বুঝতে পারে মুক্তিপণের অর্থ তারা পাবে না। তখন তারা ওই নাবালককে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই তদন🌳্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘অভিযুক্তরা মনে করেছিল পড়ুয়াটিকে বাঁচিয়ে রাখলে পুলিশের হাতে তাদের গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তাকে খুন করেছিল। কিন্তু ওরা বুঝতে পারেনি যে খুন করলে তারা আরও বড🌳় সমস্যায় পড়বে। ’
তিনি বলেন, এই ঘ🌃টনার আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, অভিযুক্তরা জানত যে নাবালকটি রস𒊎গুল্লো এবং কোল্ড ড্রিংকস পছন্দ করে। তাই তারা তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে চেয়েছিল।
কলকাতার কেপিসি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান 🧜বিভাগের ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি, তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতা মনে করেন যে এই বিশেষ ক্ষেত্রে ঘটনার পুরো ক্রমটি অভিযুক্ত নাবালকদের উচ্চস্♑তরের মানসিক অস্থিরতা প্রমাণ করে।
তি🎐নি বলেন, ‘ যখন বুঝেছিল তারা মুক্তিপণ পাবে না তারা শিকারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে আসেনি যে,🐠 তারা যদি আত্মসমর্পন করত হবে তাদের শাস্তি অনেক কম হতে পারত।’