হাতে আর একদিন বাকি। তারপরই শুরু হয়ে যাবে বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর তাই আজ প্রচারের শেষ দিনে সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু এই আবহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাল সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের♑ জয়। আর সেই সাফল্য এল বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে। বামেদের দখলে ছিল কুলতুলি বিধানসভার দেবীপুর সমবায় সমিতি। আর এবার সেই সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কুলতুলি বিধানসভার দেবীপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে ৪টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং সিপিএম ২টি আসন জিতেছে।
উপনির্বাচনের প্রাক্কালে এমন জয় নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তার উপর যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন আছে সেখানের ভোটাররাও এই খবর জানতে পারবেন। তাতে তাঁদের মনেও একটা প্রতিক্রিয়া হবে। কুলতুলির এই সমবায় আগে বামেদের দখলে ছিল। বাংলার বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে বামেরা শূন্য🐻। আর যে সমবায়টি টিমটিম করে জ্বলছিল এবার সেটাও গেল। এই সমবায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তাই হেরে গিয়ে সিপিএম এখন চাপে পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মানুষের স্বার্থে আওয়ামি লিগ সবসময় সোচ্চার থাকবে’, হামলার পর কড়া বার্তা হাসিনার
বিজেপির ক্ষেত্রে ফল ভালই। কারণ কিছু ছিল না সেখানে ৪টি আসন পেয়েছে। সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জয় নিয়ে কুলতুলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পিন্টু প্রধান বলেন, ‘এ🤡তদিন বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছিল। এবারও বিরোধীরা জোট বেঁধে আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছিল। কিন্তু মানুষ পাল্টা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এই জয় দেবীপুর অঞ্চলের মানুষের জয়।’ এই নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ ওঠেনি। এখানে ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন এবং মিছিল বের করেন।
আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে ৬টি কেন্দ্রই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ। এই সমবায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর। তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপির এখানে কিছুই ছিল না। সেখানে আমরা ৪টে আসন♍ পেয়েছি। এভাবে নির্বাচন হওয়া💟য় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’