এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে গতকালই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী যে পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। এ নিয়ে কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম, বিজেপি তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এবার এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সংসদ তথা দল𝐆ের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, ‘এখন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওনার বক্তব্য না জেনে আমি কিছু বলব না। তবে কোথাও ভুল থাকলে সেটা ভুলই। এখন কে মন্ত্রী থাকবে আর কে থাকবে না সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করবেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটি আদালতের সঙ্গে কোনও তরজার বিষয🎃় নয়। তদন্তে সত্যি বেরিয়ে আসবে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনওরকমে নেতিবাচক ধারণা করা নেওয়া ঠিক নয়। সব প্রতিষ্ঠানেই ভালো কাজ হচ্ছে। তবে একটা ভুল হলেও সেটা ভুল।’ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় ১০৩২৩ জন শিক্ষককে পথে বসানো হয়েছে সেটা ওদের সিস্টেমে ভুল। তবে গোটা সিস্টেম ভুল বলাটা ঠিক নয়।’
উল্লেখ্য, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও 𓆏পরেশ অধিকারীর মেয়ের শিক্ষকের চাকরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দেখা যায় তপশিলি জাতির তালিকা প্রথম নাম ছিল ববিতা বর্মনের। কিন্তু, পরে তার নাম দ্বিতীয় স্থানে চলে যায়। ওই প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন যে অঙ্কিতা তার চেয়ে এক নম্বর কম পাওয়া সত্ত্বেও তার উপরে রয়েছে। এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় গতকাল পরেশ অধিকারীকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা 🌳দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ,‘তিনি প্রভাবশালী বলেই পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তার মেয়ের চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন।’ অধীর চৌধুরী পরেশ অধিকারীকে ‘বদের ধাড়ি’ বলে কটাক্ষ করেন।