পঞ্চায়েত ভোটের পর এবার লোকসভা ভোটেও আলাদাভাবে লড়াই করার কথা ঘোষণা করল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ঠিক সেই সময় প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে লোকসভায় আলাদা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে কুড়মি সমাজ। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা না করল꧑েও কোন কোন আসনে এবার তারা লড়তে চায় সে বি﷽ষয়টিও জানাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ স💙রকারের সঙ্গে সমঝোতা? কোন পথে উঠে গেল কুড়ম𓆏িদের আন্দোলন
কুড়মি সমাজ জানিয়🎉েছে, আদিবাসী তালিকাভুক্তের দাবি আদায়ের জন্য এবার তারা সরাসরি ভোটে লড়তে চায়। রবিবার বিকেলে প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে আলাদা লড়াইয়ের কথা জানান আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা তথা প্রধান নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। তারা জানিয়েছ𝐆ে, এবার লোকসভায় জঙ্গলমহলে ৪টি আসনের প্রার্থী দেবে কুড়মি সমাজ। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের একাধিক আসনে লড়বে। তবে ওড়িশায় ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুড়মি সমাজ।
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন করেনি কুড়মি সমাজ। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় কুড়মি ও তার সহযোগী জনজাতি নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚআদিবাসী কুড়মি সমাজসহ একাধিক কুড়মি সংগঠন। দাবি আদায়ের জন্য এর আগেও একাধিকবার রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন কুড়মি সমাজের মানুষজন। তার জেরে বেশ কিছুদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা-চান্ডিল শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ায় আদিবাসী কুড়মি সমাজের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এই অবস্থায় তারা আলাদাভাবে✅ লড়লে বিজেপি এবং শাসক দলের উপর চাপ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কুড়মি সমাজের তরফে জানানো হয়েছে, তারা জঙ্গলমহলের মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া এই ৪টি আসনে প্রার্থী দেবে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ, জামশেদপুর, রাঁচি, গিরিডি, হাজারিবাগে প্রার্থী দেবে কুড়মি সমাজ।
এদিন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, কোনও রাজনৈতিক দল তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য কিছু করেনি। তাই দাবি পূরণের জন্য লোকসভায় আলাদাভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে যে আন্দোলন কর্মসূচি চ💝লছে তা চালিয়ে যাওয়া হবে। তিনি জানান, কুড়মি সমাজ বাংলা, ঝাড়খণ্ডে প্রার্থী দেবে। তবে ওড়িশায় ভোট বয়কট করবে
আদিবাসী কুড়মি সমাজ জানিয়েছে, জঙ্গলমহলের যে ৪ কেন্দ্রে তা൩ঁরা প্রার্থী দেবে সেখানে কোনও রাজনৈতিক দল থেকে কুড়মি জনজাতির কোনও প্রার্থী দাঁড়ালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করা হবে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এমনটা করেছিল কুড়মি সমাজ। এদিন কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজেশ মাহাতোও জানান, কোনও সাংসদ, বিধায়ক তাদের জন্য কিছু করেননি। তাই কুড়মি সমাজ নি💛র্বাচনে লড়বে।