লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করে থাকেন। অথচ একেবারেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপির এক বুথ সভাপতি–স♔হ প্রায় ১২ জন পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের তদন্তে নেমে ময়না থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল খানাকুল থানার পুলিশ। ময়নার দক্ষিণ হারকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাস নামে এক যুবক ২০২২ সালে খানাকুলের দু’নম্বর ব্লকের বিডিও’র লগইন পাসওয়ার্ড অপব্যবহার করে দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের ১২ জন ব্যক্তির নামে লক্ষীর ভাণ্ডার পাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সে একটা এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করত।
এদিকে ময়নার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ হরকু🅘লি গ্রামের বুথ সভাপতি অশোক দাস–সহ মহিন দাস ,মন্টু দাস ,সুখেন মাইতি, অমরেশ মাইতি, রাহুল পাহারি–সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপক ময়নার বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাস–সহ তিনজন। গত ৬ মার্চ ২০২৪ সালে অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা ঢোকার পর পাড়া–প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তা জানাজানি হয়। তারপর গত ৩ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের সময় ময়নার বিডিও’র কাছে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে ওই যুবক। এই বিষয়ে ওই যুবকের একটি মুচলেকা হাতে আসে। তারপরে খানাকুলের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আবার অসুস্থ হয়ে প🧔ড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, রয়েছেဣন অক্সিজেন সাপোর্টে
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না–১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাস। তাঁরই ছেলে শ্রীকান্ত দাস। শ্রীকান্ত এক এজেন্সির মাধ্যমে প্রশাসনিক স্তরে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের ডেটা অপারেটিংয়ের কাজ করতেন। নান🦄া সরকারি অফিসে বরাত পাওয়া ওই সংস্থা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি জেলায় শ্রীকান্তকে কাজে পাঠাত। আর সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ময়নার শ্রীকান্ত হুগলির খানাকুল–২ ব্লকের বিডিও’র লগইন ব্যবহার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি করেছে। বিডিও’র অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বাবা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাস–সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে খানাকুলের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় পুলিশ।