একসময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা। বাম জমানায় হলদিয়ায় সেই লক্ষ্ণণ শেঠই ছিলে🎃ন শেষ কথা। তবে এখন সেই বাম জমানাও নেই। লক্ষ্ণণের সেই দাপটও আর নেই। সিপিএম থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর ইতিমধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস দল ঘুরে এসেছেন তিনি। তবে গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই সেই লক্ষ্ণণ শেঠের মুখে এখন শুধুই তৃণমূল ভজনা। তার সঙ্গেই তাঁর প্রাক্তন দলের নিন্দায় মুখর তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের দরজা কবে লক্ষ্ণণ শেঠের জন্য খুলবে সেদিকেই নজর রয়েছে অনেকের।
শুক্রবার লক্ষ্ণণ শেঠের স্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডা শেঠের জন্মদিন ছিল। সেই অনুষ্ঠান থেকে তাঁর প্রাক্তন দল সিপিএমকে নিশানা করে তির ছোঁড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রথম শত্রু কে তাকেই নির্দিষ্ট করতে পারেনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যা হল এর কোনও মানে হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে আর এক মুসলিম নেতার পার্টির জোট হল🤡। আসলে কে প্রথম শত্রু তাকেই চিহ্নিত করতে পারেনি এরা। মনে রাখত൩ে হবে বাস্তবকে অস্বীকার করলে বাস্তব আপনাকে অস্বীকার করবে।’
২০১৪ সালে বহিস্কার করা হয়েছিল লক্ষ্ণণ শেঠকে। বহিষ্কার হওয়া সেই নেতার দাবি, 'আমি এই দলে ছিলাম। দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছি। কিন্তু আমার যখন ভুল ভাঙল তখন আমাকে দল থেকে তাড়ানো হল। এখন সেই দলটা আর এই দলের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না।' আর জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী না করার সেই ঐতিহাসিক ভুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'জ্যোতিবাবুকে প্রধানমন্ত্রী করা হল না। কারণ কংগ্রেস তখন প্রধান শত্রু। আর এখন সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট।' মমতা সম্পর্কে তাঁর কথায়, ‘গণতান্ত্রিক জনমুখী কর্মকাণ্ডই ত♋ো আসল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাস্তাই নিয়েছেন।’ দরাজ প্রশংসায় লক্ষ্ণণ শেঠ।