একদিকে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন আর অন্যদিকে কবি সুবোধ সরকার।এতদিন একই মিছিলে হেঁটেছেন তাঁরা। হয়তো আগামীদি🌳নেও তাঁদের দেখা যাবে একই মিছিলে। কিন্তু ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ও তার পরবর্তী ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া বিতর্ক যেন অনেকটাই মতান্তর তৈরি কর💖েছে তাঁদের মধ্যে।
ঘটনার সূত্রপাত ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। সেদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছিলেন, পানি, দাওয়াত বাংলা ভাষার অন্তর্গত নয়। দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সেই অনুষ্ঠানে শিল্পী শুভাপ্রসন্নের এই মন্তব্য যেন আচমকাই অন্য সুরে বেঁধে দিয়েছিল গোটা অনুষ্ঠানকে। মঞ্চে তখন খোদ রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, শুভাদার কথার সঙ্গে আমি সহমত নই। অনেকে জলকে ওয়াটার বলে।অনেকে পানি বলেন। অনেকে মাকে আম্মা বলেন। এগুলো তো মানতে হবে। ꦦ;
এদিকে সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও সুর চড়িয়েছিলেন শুভাপ্রসন্নকে নিশানা করে। 🍷পালটা মুখ খুলেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। এমনকী কবি সুবোধ স🧸রকারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।তবে এবার মুখ খুললেন সুবোধ সরকার।
তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি শুভাদা প্রসঙ্গে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করিনি। তবে আমি মনে করি পৃথিবীতে অনেক ܫশুভাদা আছেন। কার্যত আগেভাগেই সরাসরি শুভাপ্রসন্নকে আক্রমণ করার রাস্তায় হাঁটলেন না কবি সুবোধ সরকার।
বরং তিনি বলেন, ভাষার ছাত্র হিসাবে তাঁদেরকে আমি একটা কথাই বলতে চাই একটা ভাষা তখনই সমৃদ্ধ হয় যখন সে অন্য় অনেক ভাষা গ্রহণ করে। ই𓃲ংরেজি, বাংলা, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চের মতো ভাষাগুলো এভাবেই সম☂ৃদ্ধ হয়েছে।
সুবোধ সরকার জানিয়েছেন, অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার নেওয়াকে বলে লোন ওয়ার্ডস। বাংলা ভাষায় কোনও শব্দ নেওয়া হয়নি? আরবি, ফার্সি শব্দ তো অভিধানে ভর্তি। ইংরেজি শব্দও নেওয়া হয়েছে। আধুনি🌞ককালে উর্দু, হিন্দি শব্দও বাংলার সঙ্গে সংয✃ুক্ত হয়েছে।
কবির মতে, ভাষা তো বহমান নদীর মতো। তিন মাইল অন্তর বাঁক নেবে। বাঁক না নিলে ভাষা বেঁচে থাকে নাকি? ভাষা তো অনꦗ্যের থেকে গ্রহণ করে বাঁচে। বাংলা ভাষার গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে। তাঁর মতে ভাষা নদী হয়ে মাটি স্পর্শ করে। আবার আকাশে মেঘ হয়ে কাঁটাতার পেরোয়। এর কোনও সীমানা বিভাজন হয় না। এভাবেই বাংলা ভাষার নানা দিক তুলে ধরেন কবি সুবোধ সরকার। কিন্তু তিনি প্রবীন শিল্পীকে সরাসরি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি।