আবারও একটি সমবায় সমিতির নির্ব🥂াচনে লাল ঝড়। কার্যত সেখানে ধরাশায়ী হল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা সমবায় সমিতির নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয়লাভ করল বাম। সেখানে তারা ৪০টি আসন পেয়েছে। তারফলে সেখানে খুশির হাওয়া বইছে বাম কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। সামনে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সমবায় সমিতির নির্বাচনে এই জয় সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের অনেকটাই চাঙ্গা করেছে। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শক্তি যোগাবে বলে মনে করছেন বাম নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির নির্বাচনে ব্য๊াপক জয় পেল বামেরা, তে🏅হট্টে উড়ল লাল পতাকা
গাইঘ♊াটা সমবায় সমিতিতে ৫১টি আসন রয়েছে। বামেরা সেখানে ৪০টি আসন পেলেও মাত্র ১১ টি আসন পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ডুমা এল এস প্রাইমারি কো-অপারেটিভ এগ্রিল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তারপরে শাসক দল সেখানে নির্বাচন করাতে আগ্রহী দেখায়নি বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে সেখানে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
সিপিএমের অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল কোনওভাবেই চায়ছিল না এই সমবায় সমিতির ভোট হোক। এর আগে সিপিএম💟ের দখলে ছিল সমবায় সমিতি। তাদের দাবি, তখন কেউ দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি। মানুষ বুঝতে পেরেছে দুর্নীতিমুক্তভাবে সমবায় সমিতি চালাতে গেলে ꦆবামেদের সমর্থন করতে হবে। সেই কারণে মানুষ ঢেলে সমর্থন করেছেন।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেত🀅ৃত্বের বক্তব্য, ২০১১ সালের পর সཧেখানে অনেক মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে এসেছে। তবে এক একটা বাড়িতে ৪–৫ জন করে ভোটার রেখে দিয়েছে বামেরা। সমবায় সমিতির নির্বাচন করতে গেলে একটি বাড়িতে একটি ভোটার করতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে সিপিএমের অবস্থা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এক✱াধিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাম। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে অবশ্য বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি যৌথভাবে লড়ে সাফল্য পেয়েছিল। তবে গাইঘাটায় কোনও জোট হয়নি। তাছাড়া, ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরেই বামেরা কার্যত শূন্যে নেমে এসেছিল। সেখানে সমবায় সমিতির এই জয়ে বাম শিবির উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও তৃণমূল এই ভোটকে গুরুত্ব চায়ছে না। উল্লেখ্য, গাইঘাটার এই সমবায় সমিতিতে ভোটারের সংখ্যা হল প্রায় ২৬০০।