বিজেপির রাজ্য দফতরে বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর তত্ত্ব এবার শোনা গেল আদি বিজেপির নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। শনিবার মহালয়ার 🧸সকালে তর্পনের চুঁচুড়ায় একথা বলেন তিনি। বিজেপিতে পুরনোদের যথেষ্ট 𒀰সম্মান রয়েছে বলে দাবি করেন লকেটদেবী।
শনিবার সকালে রাজনৈতিক হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীদের স্মরণে চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে তর্পণ করেন হুগলির সাংসদ। এর পর ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন লকেট। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়♚ে তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে পুরনোদের গুরুত্ব মোটেই কমেনি। দিলীপ দা, রাহুল দা আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। প্রত্যেকের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে নানা ভাবে বিজেপি ভাঙার চেষ্টা করছে। তাদের চক্রান্ত সফল হবে না। ২০২৪ সালে ৪০০-র বেশি আসন নিয়ে মোদীজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ লকেট বলেন, ‘পুরনোদের বুদ্ধি আর নতুনদের শক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে যাবে বিজেপি।’
বলে রা🀅খি, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এর পিছনে কোথাও কোথাও তৃণমূলের হাত রয়েছে। যেমন সন্দেশখালির তৃণমূলের গুন্ডা শেখ শাহজাহান, যে ৬৮ হাজার ভোটে জেলা পরিষদে জিতেছিল। সে একটা বাস ঠিক করে দিয়েছে মুরলিধর লেনে আসার জন্য। আমাকে বাসের মালিক সকালবেলা মেসেজ করে বলে দিয়েছে। যে টাকাটা কোনও বিজেপি নেতা দেয়নি, দিয়েছে শাহজাহান। এর পিছনে অনেক খেলা আছে’।
তবে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিজেপি নেতাকর্মীরাও ছিলেন বলে স্বীকার করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কিন্তু বিজেপির কিছু পরিচিত মুখকে সামনে দেখা গিয়েছে। পার্টির নেতৃ💝ত্বকে নিয়ে তাদের সঙ্গে ডেকে বসে কথা বলব। আমি নিজেও দরকার হলে তাদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু দুধ আর জলটাকে আলাদা করতে হবে। আইপ্যাক আর তৃণমূলের পাঠানো মালগুলোকে আগে আলাদা করতে করতে হবে। আর ভারতীয় জনতা পার্টির পুনরো বলিষ্ঠ কার্যকর্তা, তাদের যদি কোনও অভাব – অভিযোগ বা সঠিক পরামর্শ থাকে তাতে ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। দিলীপদার বক্তব্যকে আমি আংশিকভাবে সমর্থন করি’।