বাংলা পরীক্ষা ঠিকঠাক হলেও চিন্তা ছিল ইংরেজি পরীক্ষা নিয়ে। তাই ভাইয়ের হয়ে ইংরেজি পরীক্ষায় বসেছিলেন দাদা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সই না মে𒁃লায় হাতেনাতে ধরে ফেললেন পরিদর্শক। এই অপরাধের শাস্💝তি হিসেবে সেই পরীক্ষার্থীর খাতা আরএ করে দেওয়া হয়েছে। হুগলির শ্যামপুর হাইস্কুলে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্য♌ায় একথা জানান। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর মোট তিনজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা আরএ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পরীক্ষার্থীর খাতা আরএ করা মানে হল সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী তিন বছরের জন্য পরীক্ষায় বসতে পারবে না।
চলতি বছর মাধ্যমিকে গতবারের থেকে কড়াকড়ি ছিল অনেকটাই বেশি। ইংরেজি পরীক্ষায় ফেল করার আশঙ্কায় শ্যামপুর হাইস্কুলে ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন দাদা। সূত্রের খবর, প্রথম পরীক্ষা বাংলা বৈধভাবেই দিয়েছিল পরীক্ষার্থী। কিন্তু তার হয়ে ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েছিল তার দাদা। পরীক্ষা হলে প্রথমে তাঁকে দেখে অবশ্য শনাক্ত করা📖 সম্ভব হয়নি। তবে সই করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ওই পরীক্ষার্থীর সই দেখে সন্দেহ হয় পরিদর্শকের। ইতিহাস পরীক্ষার দিন আগের সইয়ের সঙ্গে দুটো সই মিলিয়ে দেখতেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরিদর্শক।
এক𒉰ইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর ভুয়ো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে অবশ্য সে বিষয়ে এখনও পর্ষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ𒈔্চিত করা হয়নি। স্থানীয় থানার পক্ষ থেকেও সেই অভিযোগে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের অরবিন্দ হাইস্কুলে জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল সহ ধরা পড়েছিল এক পরীক্ষার্থী। পূর্ব বর্ধমানের শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা প্রসন্ন হাইস্কুলে ভূগোল পরীক্ষার দিনও মোবাইল-সহ ধরা পড়ে এক ছাত্র। তাদের দুজনকেই আরএ করা হয়েছে।