নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বুথ পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ‘ধমক’ দিয়ে তাঁর ‘এলাকা’ চিনিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধমকে অবশ্য দমে যাওয়ার বদলে পালটা বার্তা দিলেন মহুয়া। এদিন দলীয় সম্মেলনে করিমপুরের সব বিষয় মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের উপর ছেড়ে দিতে বলেন মমতা। এর প্রেক্ষিতে মহুয়া পোস্ট করে মহুয়া লেখেন, ‘আমি করিমপুরের বাসিন্দা এবং সেখানেই থাকব।’ (আরও পড়ুন: পুজো♊র আগে বড় 🌃ধাক্কা বাংলার সুরাপ্রেমীদের জন্য, বাড়ছে মদের দাম!)
প্রসঙ্গত, 𒈔এর আগে আজ দুপুরে নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সম্মেলনে মমতা মহুয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘করিমপুর আর মহুয়ার জায়গা নয়। ওটা আবু তাহেরের জায়গা। উ🐭নি দেখে নেবেন। তুমি তোমার লোকসভা নিয়ে থাকো।’ প্রসঙ্গত, করিমপুর নদিয়া জেলায় হলেও এটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৬ সালে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মহুয়া। পরে ২০১৯ সালে সাংসদ হয়ে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন মহুয়া। তবে অভিযোগ, মহুয়া এখনও করিমপুরে ‘হস্তক্ষেপ’ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপের জেরে জেলায় জেলায় জারি সতর্কতা! বাংলার কোথায়, কবে💖 বৃষ্টি?
ফেসবুক পোস্টে মহুয়া গতকাল লেখেন, ‘করিমপুরের একজন সাধারণ ভোটার হিসেবে বা আপনাদের পূর্বতন বিধায়ক হিসেবে প্রত্যেক করিমপুর ব๊াসীর সঙ্গে আমার নাড়ির টান ছিল,আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে আরও বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশের কারণে আমাকে ওই অঞ্চলেগুলোতে আরও বেশি সময় দিতে হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আগামীদিনে উন্নয়নমূলক প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রয়োজনে মাননীয় সাংসদ জনাব আবু তাহের খান সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’ শেষ লাইনে মহুয়া লেখেন, ‘আমি করিমপুরের ভোটার ও অধিবাসী হিসেবে আমার করিমপুরের বাসস্থানেই থাকব।’ এই এক বাক্যেই মনে করা হচ্ছে, করিমপুরের উপর থেকে নিজের প্রভাব এত জলদি ছাড়তে নারাজ মহুয়া। মমতার নির্দেশে ‘কাজ’ ছাড়লেও জমি ছাড়বেন না সাংসদ।