অবশেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন মালদার স্কুলে ঢুকে পড়া বন্দুকবাজ দেববল্লভ বর্মনের স্ত্রী। তৃণমূলকর্মী রীতা বল্লভ জানিয়েছেন, স্বামীর ছোটবেলা থেকেই মানসিক রোগ রয়েছে। সেকথা গোপন করে বিয়ে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। সমস্যা বুঝতে পেরে নিজের ও ছেলের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিন বছর আগে আ♕লাদা থাকতে শুরু করেন তিনি।
গত বুধবার মালদার চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। ক্লাসে ঢুকে দিদিমণির দিকে বন্দুক তাক করে বলে আমার কাছে পেট্রোল ও অ্যাসিড বোমা রয়েছে। আমার দেহে বাঁধ♔া রয়েছে বিস্ফোরক। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব না দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায় পরিস্থিতির গুরুত্ব। ক্লাসের টেবিলের ওপর ২টি বোতল রেখে হাতে বন্দুক তাক করে তিনি বলতে থাকেন, আমার ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করেছে। তখন ক্লাসে হাজির প্রায় ৫০ জন ছাত্র। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্দুকবাজকে ধরাশায়ী করে। মুক্ত করে ছাত্রছাত্রীদের।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে অভিযুক্ত দেববল্লভ বর্মন এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকেন তিনি। ঘটনার পরদিন দেববল্লভবাব♏ুর স্ত্রী রীতা বর্মনের খোঁজ মেলে তাঁর বাবার বাড়িতে। সেখানে রীতাদেবী জানান, ‘আমার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসা করাতে চান না তিনি। বিয়ের পর থেকে নানা রকম কাণ্ড সামলাতে হয়েছে। ছেলে এখন বড় হয়েছে। ওর নিরাপত্তার কথা ভেবে শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর শাশুড়ি ব꧒লেছিলেন ছোটবেলা থেকেই স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। ও খুব সরল মনের মানুষ। যে যা বোঝায় তাই বোঝে। ওর পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। আমি চেষ্টা করেছিলাম পারিনি। আমি ওর চিকিৎসা করাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ও নিজের দুনিয়ায় থাকে꧋। যা ভাবে তাই করে। কারও কোনও পরামর্শ শোনে না। এভাবে তো আর সংসার করা যায় 𝓀না।’
অভিযুক্ত দেববর্মন বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। রীতাদেবী বলেন, রাজনীতিতে যোগদানের পর ওর মাথা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবে স্কুলে ঢুকে ও যা করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বন্দুক থেকে একটা গুলি ছুটে গেলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারতꦐ। প্রশাসন যেন ও🍷র চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। বুধবারের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।