নদী ভাঙন এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। কয়েকদিন আগেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক উত্তরের জেলায় নদী ভাঙনে সব তলিয়ে যꦐাওয়ার দৃশ্য দেখে এসেছেন। তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার গঙ্গা নদীর ভাঙনে তলিয়ে যেতে দেখা গেল রতুয়ার মহানন্দাটোলার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। এই ঘটনা দেখে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। কারণ এই ভাঙন প্রতিরোধের স্থায়ী সমাধান এখনও হয়নি। এই অবস্থার জন্য এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়।
এদিকে এখন বাড়ছে মহানন্দা নদীর জল। পুলিশ ক্যাম্পের পর এবার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মহানন্দা নদীর জলে প্♏লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে ইংরেজবাজারের ৮, ১১ এবং ১৩, ওয়ার্ডের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। এই নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা জেলায়। মানুষজন অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার কথা ভা🐲বতে শুরু করেছেন। নদী ভাঙনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। কারণ এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে পড়ে। এমন ঘটনার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। রাজ্য তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কিছু ব্যবস্থা করলেও তাতে স্থায়ী হয়নি সমাধান। এখন রতুয়া–১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলা শ্রীকান্ত টোল🐎াতে যে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়েছিল আজ তা গঙ্গা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। এমনকী এই ভাঙনের ফলে মহানন্দাটোলা এবং বিলাইমারি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো বিঘা জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এখন নদীতে জল বেড়ে তা এগিয়ে আসছে গ্রামের অভিমুখে। তাই আতঙ্কে ঘুমোতে পারছেন না দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: ‘ও মা গো বাঁচাও’, এভাবেই চিৎকার 🐼করে𝕴 একের পর এক যাত্রী পড়ে যান শিয়ালদায়
ঠিক কী বলছে তৃণমূল–বিজেপি? এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষো🍎ভে ফেটে পড়েছেন রতুয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যেভাবে এখানে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মহানন্দ তোলার একটা অংশ। কেন্দ্রীয় সরকার ভাঙন রোধের কাজে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে বাংলার সঙ্গে। যা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।’ পাল্টা রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর কথায়, ‘ভাঙন প্রতিরোধের জন্য রাজ্য সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধের কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে কোন প্রস্তাব পাঠায়নি। কোনও বৈঠক ডাকলে রাজ্য সরকারের কেউ আসেন না। রাজ্য সরকারের প্রস্তাব আসলে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করবে।’