দুর্গাপুজোয় রাজ্যজুড়ে যখন আলোর রোশনাই, তখন অনাহারে মৃত্যু হল ৪ সন্তানের জননী। অভিযোগ, স্বামীর অবহেলায় এই চরম পরিণতি হয়েছে তাঁর। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াগাছা গ্রামের। মৃতের নাম রুপন বিবি। ম🦋ঙ্গলবার ভোরে যখন তাঁর মৃত্যু হয় তখন মায়ের পাশেই বসে ছিল ৪ নাবালিকা ছেলে মেয়ে।
নিহতের মা কাইসারা বিবি জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে মুড়াগাছা গ্রামের লালচন শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় রুপন বিবির। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এমনকী তাঁকে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। খেতে চাইলে জুটত মারধর। এরই মধ্যে একে একে ২ পুত্র ও ২ কন্যা সꩲন্তান হয় রুপন বিবির। অনাহারে বারবার অন্তসত্তা হয়ে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। এর পর স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে রেখে ভিনরাজ্যে কাজ করতে চলে যান লালচন শেখ। তার পর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের তিনি আর কোনও খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের কোনও খরচও পাঠাতেন না তিনি। স্বামী পাশে না থাকায় নিজের ও সন্তানদের রেশন কার্ডসহ অন্যান্য সরকারি পরিচয়পত্র বানাতে পারেননি রুপন বিবি। এভাবে ক্রমশ অপুষ্টিতে ভুগতে শুরু করে পরিবারটি। অন্ন সংস্থানের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন রুপন বিবি। কয়েক বছর এভাবে ৪ সন্তানকে প্রতিপালনের পর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। এরই মধ্যে লালচন শেখ পাশের গ্রামে ফের বিয়ে করেন।
নিহতের মায়ের দাবি, প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা অনাহারে রয়েছেন জেনেও তাদের সাহায্য করার কোনও উদ্যোগ নেননি লালচন। রুপন বিবির চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করেননি তিনি। দিনের পর দিন সন্তানদের নিয়ে আধপেটা খেয়ে কাটাতে থাকায় কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে আসেন 🐷রুপন বিবি।🍷 কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুর পর ৪ নাতি - নাতনিকে নিয়ে অথই জলে পড়েছেন কাইসারা বিবি। বাবার সান্নিধ্য জোটেনি কোনও দিন, মায়ের মৃত্যুর পর কার্যত অনাথ ৪টি শিশু।