রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় বীর এএসআই রতন রায়কে আগেই সম্মানিত করেছে জেলা পুলিশ। আর এবার তাঁকে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার। স্পেনের মাদ্রিদে গিয়ে রাজ্যের পুলি💟শ আধিকারিকদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কীভাবে🦹 বিহারের গ্যাং বাংলায় এসে এভাবে ডাকাতি চালাল সে বিষয়টিও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেনের মাদ্রিদে রাজ্যের সিকিউরিটির ডিরেক্টর পীযুষ পান্ডেকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ ডাকাতির ঘটনায় কেউ যেন কোনওভাবেই রক্ষা না পায়।
আরও পড়ুন: দুষ্কৃতী–পুলিশে🥂র গুলির লড়াইয়ে নায়ক এএসআই, সাহসꦑিকতায় মুগ্ধ রানাঘাটবাসী
গত ২৯ অগস্ট নদিয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় একই কায়দায় দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল সেনকো গোল্ডের আউটলেটে। পুরুলিয়ার ঘটনায় ডাকাত দল পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রানাঘাটে ডাকাতদল সোনার আউটলেট থেকে বের হতেই পিছু ধাওয়া করেন পুলিশের এএসআই রতন রায়। ডাকাতের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলে গুলির লড়াই। সেই দৃশ্য কার্যত সিনেমাকেও হার মানিয়ে দিয়েছিল। অকুতোভয় ওই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন রানাঘাটবাসী থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মী, আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ওই সোনার আউটলেটে ডাকাত দল হানা দেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই রতন বাবুকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রানাဣঘাট থানার পুলিশ। এরপর তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
মোট ৪ জন অফিসার এবং ৬ জন পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশকে দেখেই সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা । রতনবাবুর শরীরের ওজন ১০২ কেজি হওয়ায় দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। পালটা গুলি চালিয়ে তিনি দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেন। গুলি♏ লাগতে পারে সেই ভয় তাঁর ছিল না, তিনি একটাই কথা ভাবছিলেন যে কোনওভাবে তাদের ধরতে হবে। এই ঘটনার পরেই গোটা নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে রতন বাবুর সেই সাহসিকতার ভিডিয়ো। শুধু পুলিশের উপর মহলের আধিকারিকরাই নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রতন রায়ের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন। সে ঘটনার পরে রানাঘাটে জেলা পুলিশ রতন রায়কে সম্মানিত করেছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাইছেন সেই বীর পুলিশকে বীরত্বের সম্মানে ভূষিত করতে। রানাঘাটের এই ঘটনায় ধরা পড়েছে বিহারের গ্যাং। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার ঘটনায় ধরা পড়েছে ঝাড়খণ্ডের গ্যাং। কীভাবে ভিন রাজ্য থেকে তারা এ রাজ্যে এসে ডাকাতি করার সাহস পাচ্ছে? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।