অনীত অনীত ও অনীত। পাহাড়𓂃ে এখন মুখ্য়মন্ত্রী অন্যতম ভরসা। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল এককভাবে কতটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াতে পারবে পাহাড়ে তা নিয়ে সন্দেহে তৃণমূলের তাবড় নেতারা। তবে বিকল্প রুটটা বিলক্ষণ জানে ঘাসফুল। একটা সময় তৃণমূল ভরসা ছিলেন বিমল গুরুং। সেই সম্পর্কে বর্তমানে অনেকটাই ফাটল ধরেছে। বিমলের নিজস্ব অস্তিত্ব সংকটে পাহাড়ে। সেই জায়গায় উঠে এসেছেন অনীত থাপা। এখন অনীত থাপাই তৃণমূলের নয়নের মণি। এখন অনীত থাপাই তৃণমূলের একমাত্র ভরসা। কার্যত তার উপর ভর করেই ফের পাহাড়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল।
কার্যত এবার মমতার দার্জিলিং সফর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বিমল গুরুংকে কোণঠাসা করতে মমতা তৈরি করেছিলেন ১৬টি উন্নয়ন বোর্ড। এবার সেই উন্নয়ন বোর্ডকে কিছুটা রদবদল করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, একটি মনিটর💙িং কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। তার চেয়ারম্যান হিসাবে থাকবেন অনীত থাপা।
অর্থাৎ একাধিক উন্নয়ন বোর্ড।💎 সেই উন্নয়ন বোর্ডে এবার ব্যপক রদবদল করতে চান মমতা। তারপর সেই বোর্ডগুলির নজরদারির কাজে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হল অনীত থাপাকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কার্যত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মম🀅তা একাধিক দরজা খোলা রাখলেন। অনুগত থাকলে তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে কসুর করেন না নেত্রী এটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই আগামী ভোটে অনীত থাপা কতটা প্রতিদান দিতে পারেন সেটাও দেখার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বার বার ভোট হয়েছে পাহাড়ে। আর বার বারই পাহাড়ে হোঁচট খেয়েছে তৃণমূল। কখনও তৃণমূলের ভরসা হয়েছেন বিমল গুরুং। এখন আবার অনীত থাপা।কিন্তু ভোট মিটতেই দেখা গিয়♚েছে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবারের লোকসভা ভোটের আগেও দেখা গিয়েছিল পাহাড়ে তৃণমূলের কোনও পতাকা নেই। এমনকী দার্জিলিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বড় কোনও হোর্ডিংও নেই। সবটাই সেখানে অনীতময়।আর এবারও পাহাড়ে গিয়ে সেই অনীতকেই গুরুত্ব দিলেন মমতা।