মাঝে আরা﷽মবাগ। এক দিকে কলকাতা ও তারকেশ্বর। অন্য দিকে দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা ও বর্ধমানে একটা অংশের সঙ্গে যোগাযোগের অন্য়তম মাধ্য়ম হল এই রাস্তা। বললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সোমবার আরামবাগের কালীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই রাস্তাটির উদ্বোধন করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই রাজ্য সড়কটি ছিল অত্যন্ত সংকীর্ণ। যানজট লেগেই থাকত। বাসিন্দাদের রোজকার ভ﷽োগান্তি। সেই সঙ্গেই মাঝেমধ্য়েই হত দুর্ঘটনা। এবার সেই রাস্তারই আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত ২০ কিমি অংশের মধ্য়ে ১৬ কিমি আরও গতিময় হল।
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, খুব বড𝐆় কাজ করে দিয়েছি।&nbs꧃p;
পর💧িসংখ্য়ান অনুসারে জানা গিয়েছে, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮-২০ হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছিল। রাস্তাটি আপাতত ১৭ মিটার চওড়া করা হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ৬১০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি সেতু, একটি উড়ালপুল ও দুটি আন্ডারপাস করা হয়েছে। এই রাস্তা তৈরিতে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।
পাশাপাশি উত্তরপাড়ার কোতরঙে দশ একর জমির উপর ১৫৫৬ কোটি টাকায় তৈরি জলপ্রকল্পেরও সূচনা করেছেন ✤মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
অন্য়দিকে আরামবাগ মানেই সবার আগে যেকথাটি মনে আসে সেটা হল ফি বছর বন্যার আতঙ্ক। বন্যায় তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ অংশ। প্রতিবার ভোগান্তির মধ্য়ে পড়েন বাসিন্দারা। তবে এনিয়েও এবার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বন্যꦗা নিয়ন্ত্রণ ও সেচের জন্য নিম্ন দামোদর অববাহিকায় ২৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। হুগলির দামোদর নদ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ তৈরি ও সুদৃঢ় করতে ৬৭২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে বিপুল টাকা খরচ করে সিঙ্গুরে তৈরি করা হয়েছে জয়স্তম্ভ। আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য় জানিয়ে তৈরি হয়েছে এই জয়স্তম্ভ। খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম পর্ব। সেকথা স্মরণ করেন মমতা। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গুরে জমি নিয়ে আন্দোলনকার♔ী কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে জয়স্তম্ভ তৈরিতে খরচ হয়েচে ৭ কোটি টাকা।&nbs🍃p;