ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বা অভিন্ন দেওয়া বিধি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে সংসদে এই বিল পেশ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা সরব হতে পারেন। রাজ্য সরকারও এনিয়ে বিরোধিতা করেছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই আদিবাসী সংগঠনগুলিও এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এবার আদিবাসী দিবসেই দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠান থেকে এর বিরোধিতায় আওয়াজ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমত🃏া বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া, আর এখানে বিজেন্ডিয়া’, সিপিএম–কংগ্রেসকে তোপ মমত𓆏ার
এদিন ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রতিটা ধর্মের, জাতির বিয়ের বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। হঠাৎ করে ইউনিফর্ম সিভিল কোড করছে কেন্দ্র। ওদের নিয়মে বিয়ে করতে হবে। কেন করবেন?’ এরপরে আদিবাসীদের বিয়ের রীতির কথা তুলে ধরে তিনি ব▨লেন, ‘আপনাদের বিয়ের নিজস্ব রীতি রয়েছে। ডালার উপর বউকে সাজিয়ে𓂃 নিয়ে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনাদের জাহের থান আছে, মাঝের থান আছে।’ মমতার স্পষ্ট বার্তা, ‘প্রতিটা ধর্ম, জাতির আলাদা নিয়ম রয়েছে বিয়েতে। তাই এখান থেকে বলে যাচ্ছি ইউনিফর্ম সিভিল কোড মানি না মানবো না। যা চলছে তাই চলবে।’ মমতার দাবি, প্রত্যেকটা মানুষের জামা কাপড় পরার স্বাধীনতা রয়েছে, খাওয়া-দাওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে, ধর্মকে প্রতিপালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। কেন্দ্রের এই বিধি তার বিরোধী।
উল্লেখ্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু হলে সব ধর্মের মানুষ একই রকম পারিবারিক, বিবাহ, উত্তꦺরাধিকার সংক্রান্ত মানতে বাধ্য হবেন। ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে ভারতের সব নাগরিকের জন্য এক আইন হবে। অর্থাত্ বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, দত্তক নেওয়া, উত্তরাধিকার ঠিক করা, সম্পত্তি বণ্টন সহ সব প্রথার একটাই আইন হবে। বর্তমানে যেমন সব ধর্মের নিজস্ব আইন রয়েছে। সেই সব আর চলবে না। চলতি লোকসভা অধিবেশনে এই বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। যদিও বিজেপির এবং তার শরিক দলগুলি এই বিলের পক্ষে থাকলেও স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা তার বিরোধিতা করবেন। ইতিমধ্যেই কেরলের রাজ্য বিধানসভায় এই বিলের বিরোধিতা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি সভায় ইউনিফর্ম সিভিল কোর্টের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, একই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য পৃথক আইন থাকলে হয় না। অনেকে মনে করছেন, ওই আইন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ‘ভোট মেরুকরণ’-এর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। তাই পাল্টা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তার ꩵবিরোধিতা করতে সুর চড়াবে।