আগেও একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধꦗ্যায়। এবার সরকারি কাজে গড়িমসি রুখতে সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও সিদ্ধান্ত গ্র🌜হণ বা কোনও প্রকল্প ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে তা কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই রিপোর্ট সরাসরি দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। কাজ কতটা এগোল, তা জানাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত সমস্ত দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
🅺সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দখলদারি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে। সূত্রে খবর, সরকারের অধীনে থাকা খালি জমি, যে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা বিক্রি করে দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আনেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁরা বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে এই বিষয়টি আলোচ🐻নায় রাখেন। খাস জমি বিক্রি করা নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও কাকে বিক্রি করা হবে, কী দামে বিক্রি করা হবে তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী দিনে ভূমিরাজস্ব দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবারের বৈঠকে জেলা ভাগ নিয়ে সিন্ধান্ত হয়েছে। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ৬ জেলা ভা♏গ করার ব্যাপারে সমীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে এই কমিটিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেলা ভাগের প্রস্তাব দেন মমতা। প্রশাসনিক কাজে সুবিধার জন্য রাজ্যের ৬টি জেলাকে ভাগ করার প্রস্তাব দেন তিনি। প্রস্তাবের বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছেন মমতা। কমিটিতে রয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক। এছাড়া রয়েছেন মুখ্যসচিব ও ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরে🌳র সচিব। নদিয়া, বীরভূম, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জꦉেলাকে ভাগ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলাকে ৩ ভাগে, নদিয়াকে ২ ভাগে, উত্তর ২৪ পরগনাকে ৩ ভাগে ভাগ করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই নতুন করে জেলা✅ ভাগের তোড়জোড় শুরু করলেন মমতা।