হাতে আর চারদিন বাকি। তারপরই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। আগামী ১৩ 𒐪নভেম্বর এই উপনির্বাচন হবে। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গের দুটি কেন্দ্র আছে। এক, আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র। দুই, কোচবিহার জেলার সিতাই বিধা🍷নসভা কেন্দ্র। এই কোচবিহার জেলায় রয়েছে ‘মমতা সেতু’। হ্যাঁ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপলক্ষ্য করেই সেটা গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে এটা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজের নামে গড়ে তোলেননি। তাঁর দলের একদা সাংসদ সেটা উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন। আজ সেটাকেই চ্যালেঞ্জের হাতিয়ার করে বিরোধীদের দিকে নিক্ষেপ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। হ্যাঁ, তিনি কুণাল ঘোষ।
উপনির্বাচনের প্রাক্কালে আজ, শুক্রবার এই ‘মমতা সেতু’র পাঁচবছর উদযাপন হচ্ছে। যার পিছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। কোচবিহারের এই নদী সংলগ্ন এলাকায় কেমন করে সেতুটি তৈরি হল? কেন এই সেতু তৈরির ভাবনা? আজ সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণম𒀰ূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আপনি আমাকে পছন্দ করতে পারেন অথবা ঘোরতর অপছন্দ করতে পারেন। কিন্তু আ🦋র একটা উদাহরণ দেখান যে কোনও সাংসদ তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে গোটা একটা সেতু তৈরি করে দিয়েছে।’ কুণাল ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। আর তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা থেকেই তৈরি হয়েছিল ‘মমতা সেতু’।
মানুষের সাহায্যে এই সেতু গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই সেতু আজও আছে। ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সে তথ্য তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। অতীতের কথা সামনে নিয়ে এসে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোচবিহারের মাতালহাট। নদী বুড়া ধরলা। একদিন সকালে তখন অপরিচিত কৃষ্ণকান্ত ব💞র্মণ এসে বলেছিলেন ওই নদীর জন্য কয়েকটা গ্রাম সমস্যায় পড়েছে। বাঁশের সাঁকোতে কাজ হয় না। বেশ বড় নদী। জলের তোড়ে ভেসে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। বর্ষায় ছোটদের স্কুলও প্রায় লা🌠টে ওঠে।’ এই খবর শুনেছিলেন তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।
আরও পড়ুন: ‘রেখা পাত্রকে আমি ভদ্রমহিলা বলে সম্বোধন করেছি’, দাবি ফিরহাদের, সমর্থন মদনের
তারপর ঠিক কী হল? এরপর কুণাল ঘোষ জানালেন সেই কথা শুনে তিনি কোন ব্যবস্থা করেছিলেন। কেমন করে গড়ে উঠেছিল ‘মমতা সেতু’? তাও জানিয়ে দিলেন। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘এই কথা শোনার পর খবর নিয়ে দে🌠খলাম। গ্রামবাসীদের মুখে শুনে বুঝলাম খবরটা একদম ঠিক। তৎক্ষণাৎ সেতু গড়ে তোলার টাকা বরাদ্দ করে দিলাম। স্থানীয় প্রশাসন সেখানে কাজ করল। তারপর ঠিক পাঁচ বছর আগে তার উদ্বোধন হয়। গোটা এলাকা আবেগে ভেসে যায়। ওই সেতুর নাম দিয়েছি ‘মমতা সেতু’। বাংলায় ম✃মতাদির নামে প্রথম কোনও সেতু বা প্রকল্প। পরেও একবার জেলায় ভোটপ্রচারে যাওয়ার সময় সেতু ঘুরে দেখেছি। ছবি দিলাম। যা আগে ছিল, যা নতুন হয়েছিল।’