রাজ্য সরকারের সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই একাধিক আধিকারিকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা অভিযোগ করেন, কয়লা পাচার, বালি পাচার, গরু পাচার, ট্রাক ওভারলোডিংয়ের মতো কাজ চলছে পুলিশ কর্তাদের চোখের সামনেই। এই দুর্নীতির থেকে তোলা টাকা কাঁথি যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা। এদিকে একাধির দফতরের সচিবদের পড়তে হয় মমতার রোষের সামনে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে কাজ নিয়ে সতর্কও করেন মমতা। এদিকে সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তার বারংবার দিল্লি সফর নিয়ে নাকি মঙ্গলের বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। (আরও পড়ুন: ৩ মাসের জ🍨ন্য প্রায় ১৬ শতাংশ হারে ডিএ🐠 পাবেন এই কর্মীরা, জারি হল বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: প্🌠রকাশ্যে 'চিড়', ভোটের ফল নিয়ে BJP-কে ঠুকল RSS! সঙ্ঘের ಌঅসন্তোষে ঘটল 'বিস্ফোরণ'
আরও পড়ুন: বদলে গেল বাংলায় র𝓀োড ট্যাক্সের বিধি, এবার থেকে দিতে হবে কত টাকা? জানুন বিশদ
আরও পড়ুন: ব𒉰াংলার ৩ BJP সাংসদ যোগাযোগ রাখছে, বিস✃্ফোরক দাবি TMC সাংসদের
তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমারকে বকুনি শুনতে হয় মমতার। এর পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষা বিভাগের কাজ নিয়ে দফতরের সচিব অনুপ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতার রোষের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন। অপরদিকে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে তিনি আলাদা করে দেখা করতে বলেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রমমন্ত্রীর কাজে মমতা খুশি নন বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। উত্তরবঙ্গের চা-বাগান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মলয়কে পৃথক বৈঠকে ডাকেন মমতা। (আরও পড়ুন: আমূল বদলাবে কলকাতা পুরসভার পরিষেবা, নয়া𝓡 ব্যবস্থা চালু হত♛ে পারে শীঘ্রই)
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব𒉰েতন নিয়ে বড় খবর, গঠিত নয়া কমিটি
আরও পড়ুন: ওবার্ড ফ্লু আতঙ্ক পশ্চিমবঙ্গে, শিশু🦩র শরীরে মিলল H9N2 ভাইরাস, জানাল WHO
এদিকে ম🏅ঙ্গলে নবান্নে আরও একটি বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মানিকতলার প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানেই উল্টোডাঙার আবাসনে অটো মিছিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। বৈঠকে উপস্থিত উল্টোডাঙার এলাকার কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুকে রীতিমতো তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘কেন এই ঘটনা ঘটলো, কে সাহস দিয়েছে ওই অটোগুলিকে ওই আবাসনে ঢোকার? আমাদেরকে যে ভোট দেবে না তাঁদের পাশে গিয়ে বোঝাতে হবে, এভাবে তাণ্ডব চালালে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকবে?’ এরপর নাকি মুখ্যমন্ত্রী সেই কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন, ওই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এবং প্রয়োজনে ক্ষমা চাইতে হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বোঝানোর চেষ্টা করলেও মমতা তাঁকে বলেন, ‘কী ঘটনা ঘটেছিল আমি সব জানি। আমাকে যা খুশি বোঝানো হবে আমি সেটা বুঝব এটা যেন না ভেবে নেওয়া হয়।’