আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি দুর্নীতির মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এল এক চরম উদাহরণ। সরকারি টাকায় তৈরি বাড়িতে ‘হোম স্টে’ খুলে বসলেন এক রেশন ডিলার। উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতী নদী তীরবর্তী এলাকা🔜য় তৈরি হয়েছে তিন তলা বাড়ি। নাম রেখেছেন ‘ইচ্ছে ডানা’। মানস দাস নামে ওই ব্যক্তিকে হোম স্টে তৈরির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে 𝓀দায় ঝেড়েছেন পুরসভা। প্রশ্ন উঠছে, যার বাড়ি দরকার নেই তার নামে কী করে বরাদ্দ হল আবাস যোজনার বাড়ি?
আরও পড়ুন - বাকিরা ওয়াক আউট করলেও বিধানসভায় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মগ্ꦅন BJP বিধায়ক
পড়তে থাকুন - আবাসের ঘরে হোম স্টে, টাকিতে দুর্নীতির দায় ঝাড়তে মরিয়া চেষ্টা ꦰপুরপ্রধানের
টাকি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ইচ্ছে ডানা’ হোম স্টে নিয়ে এখন বিতর্কের অন্ত নেই। অভিযোগ মানস দাস নামে স্থানীয় এক রেশন ডিলারের নামে বরাদ্দ হয়েছিল আবাস যোজনার বাড়ি। ২০১৯ – ২০ সালꦇে বরাদ্দ হওয়া সেই বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সব নিয়ম ভেঙে তিন তলা বাড়ি হাঁকিয়েছেন মানসবাবু। তার পর তাতে ঝুলেছে হোম স্টের বোর্ড। যদিও আবাস যোজনার বাড়িতে কোনও রকম বাণিজ্যিক কাজ করা সম্পূর্ণ বꦐেআইনি।
আর এই খবর ছড়াতেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থ🧸ানীয়রা। তাঁদের প্রশ্ন, যার বাড়ির দরকার নেই তার নাম কী করে আবাসের তালিকায় উঠল? পুরসভার হাত মাথায় না থাকলে কি এই কাণ্ড সম্ভব? যদিও দায় ঝেড়ে তৃণমূলি পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 🐼মানসবাবুকে যখন আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল তখন তিনি রেশন ডিলার ছিলেন না। রেশন ডিলার ছিলেন তাঁর বাবা। বাবার মৃত্যুর পর তিনি ডিলারশিপ পেয়ে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন - হিলি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু♛ রফতানি বন্ধ, সীমান্তে দাঁড়িয়ে শ'য়ে শ'য়ে ট্রাক
ওদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ফারুক গাজি বলেন, ‘ওই বাড়িতে বাণিজ্যিক কাজ করার কোনও অনুমতি নেই। ওনার কাছে কোনও ট্রেড লাইসেন্সও নেই। ওনার জায়গাটা ছোট বলে দোতলা বাড়ি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি বেআইনিভাবে তিন তলা বাড়ি করেছেন🎐। তার ওপরে সেখানে আবার হোম স্টে বানিয়েছেন। আমরা খবর পাওয়া মাত্র ওনাকে নোটিশ পাঠিয়েছি। সরকারি বাড়ির এভাবে অপব্যবহার করা যায় না।’