বাবা মারা গিয়েছেন। তাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। কিন্তু জীবিত ছেলের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করল মেদিনীপুর কলেজ হাসপাতাল। এমনই অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই 🐬ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের ছেলে। বাবার ডেথ সার্টিফিকেটে ছেলের নাম থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অবিলম্বে এই ভুল শুধরে নতুন ডেথ সার্টিফিকেট বাবার নামে দেওয়া হোক বলে দাবি তুলেছেন ছেলে।
এদিকে এই খবর চাউর হতেই গ্রামের মানুষজন খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। তার জেরেই প্রকাশ্যে এসেছে ಌপশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা উত্তম নন্দীর ঘটনা। উত্তম নন্দী পেশায় কৃষক। তাঁর পরিবার বলতে স্ত্রী এবং দুই ছেলে। পরিবার সূত✃্রে খবর, ভুল করে একদিন বিষ খেয়ে ফেলে উত্তম নন্দী। সেটা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে। তখন তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় উত্তম নন্দীর।
অন্যদিকে এখন কিছু কাজ করতে গিয়ে নজরে আসে মৃত উত্তম নন্দীর ডেথ সার্টিফিকেটে রয়েছে ছেলের নাম। ছোট ছেলে বলরাম নন্দী জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বাবার ꦫডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। সেটি একটি লিঙ্ক। যাতে ক্লিক করলে বেরিয়ে আসবে শংসাপত্র। সেই লিঙ্ক থেকে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা হয়। তারপর সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে গ্যাসের অফিসে বই সংশোধন এবং লিঙ্ক করতে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ব⛎াবার যে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে সেটি ভুল। মৃত উত্তম নন্দীর জায়গায় তার ছোটো ছেলে বলরাম নন্দীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতেই আছেন শেখ শাহজাহান, ঘনিষ্ঠদের দাবি তেমনই, ত✃াহলে অধরা কেন?
আর তাতেই চরমে ওঠে শোরগোল। গ্যাসের অফিসে গিয়ে তো বেইজ্জত হতে হলই। আবার মৃত বাবার শংসাপত্রও মিলল না। মৃতের ছেলের অভি🅰যোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাফিলতির জেরেই এই ভুল হয়েছে। তাই সব কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই ভুল সংশোধন করে অবিলম্বে তাঁর বাবার ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, ‘বিষয়টা কানে এসেছে। আমরা দেখে নিচ্ছি। কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।’