শ্রেয়সী পালফের মুঙ্গের যোগ পেল জেলা পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কালিয়াচকে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়ে তদন্ত করতে নেমে এই তথ্যই হাতে পেল পুলিশকর্তারা। শনিবার রাতে কালিয়াচক থানার কবরী চাঁদপুর গ্ৰামে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে অস্ত্র কারখানার হদিশে কপালে ভাঁজ পড়ার জোগাড়। এসটিএফ ও রাজ্যে পুলিশের যৌথ অভিযানে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেফতার হল দুই যুবক। কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। একটি বাড়িতে তৈরি হচ্ছিল উন্নতমানের পাইপগান সহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র। বাড়ির মালিক হুমায়ন শেখ পলাতক। কলকাতা এসটিএফ ও কালিয়াচক থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র তৈরির যন্ত্র ও কার্তুজ।ধৃত দু’জন বিহারের মুঙ্গের এলাকার হওয়ায় বড় বেআইনি অস্ত্র পাচার চক্র পিছনে রয়েছে বলে অনুমান এসটিএফ কর্তাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ ও এসটিএফ যৌথ অভিযান চালায় আলিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কবরী চাঁদপুর গ্রামে। কারখানাটি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়। নাইন এমএম পিস্তল–সহ রাইফেল তৈরি হত এই কারখানায়। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম দেখে এমনই অনুমান করা হচ্ছে।ধৃত দু’জন ফারুক আহমেদ ও মহম্মদ আজম বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছেন এসটিএফ কর্তারা। আর এখানেই উসকে উঠছে সন্দেহ। সাধারণত এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা এমনকী কলকাতাতেও ‘মুঙ্গেরি’ অস্ত্রের চাহিদা প্রচুর। যে কোনও নাশকতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকী মুঙ্গের থেকে অস্ত্র কারবারিদের রাজ্যে নিয়ে এসেও কাজে লাগানো হয়। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন কালিয়াচকে এই অস্থায়ী কারখানা? কেন তা বাড়ির ছাদে তৈরি হচ্ছিল? এইসব প্রশ্নই করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।