সকাল ১০টা নাগাদ যখন শক্তিগড়ের ধাবা থেকে বেরিয়েছিলেন তখনও বেশ খোশমেজাজে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, দাদা ল্যাংচা খেলেন? অনুব্রতর উত্তর, না না পুরী🧸। জানো না আমার সুগার আছে। এরপর গটগটিয়ে সিবিআইয়ের গাড়িতে। দিনভর নানা টুকরো কথা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি ক্রমে বদলাতে থাকে। অনুব্রতর জামিন মেলেনি। কাকুতি মিনতি, নানা কথাতেও কাজ হয়নি। সোজা আসানসোলে জেলে ঠাঁই হয় তার।
সূত্রের খবর এরপর তাঁকে পাঠানো হয় জেলের হাসপাতালে। তার মধ্যেই রাত কাটাচ্ছেন। তবে♏ তার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেই খবর। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। লোহার খাটে শুলেন। সেই বিলাসবহুল ব্যবস্থাও নেই। একেবারে সাধারণ জেল হাসপাতাল। সেখানেই এলেন অনুব্রত। আর সূত্রের খবর রাতে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মেনুতে ছিল রুটি আর কুমড়োর তরকারি।
চারপাশে অনুগামীদের ভিড় নেই। এদিক ওদিক তাকালেই জেলবন্দিরা। তার মাঝেই কেষ্ট মণ্ডল। গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তার বিরুদﷺ্ধে একের পর এক কাণ্ড ক্রমেই প্রকাশ্য়ে আসছে। ꧟;
তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে জেলেও কি দাপট দেখাবেন তিনি? চড়াম চড়াম, কিংবা গুড় বাতাসার নিদান সেখানে কি আদৌ কাজ করবে? নাকি আর পাঁচজন জেলবন্দির মতোই সাধারণ থাকবেন তিনি? তবে সূত্রের খবর তার জন্য় বিশেষ ꦡকোনও ব্যবস্থার কথা বলা হয়নি। সাধারণ কয়েদীর মতোই থাকবেন তিনি।
তবে সূত্রের খবর, অনুব্রত নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সাধারণত কমোডেই অভ্যস্ত তিনি। কিন্তু জেলে যে শৌচাগারগুলি রয়েছে সেগুলি সিংহভাℱগই ভারতীয় ধাঁচের। সেক্ষেত্রে কমোড ছাড়া কীভাবে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাতকৃত্য হবে তা ভেবে রাতের ঘুম উড়েছে একাধিক অনুগামীর।