মিড–ডে মিলের মেনু পরিবর্তন হচ্ছে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের মধ্যে। কারণ বর্ধমান শহরের কানাইনাটশাল শালবাগানের বেলারাণী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিড–ডে মিলে ভাত, ܫমুরগির মাংস এবং চাটনি দেওয়া হয়েছে। এর🍌পর থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী সপ্তাহের অন্য দিনেও ডাল, পোস্ত, পটল, ডিম, সয়াবিনের তরকারি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষকরা।
কী বলছে স্কুলের পড়ুয়ারা? এই স্কুলের একাধিক পড়ুয়া মিড–ডে মিল খেয়ে জানিয়েছে, আগেও স্কুলে মুরগির মাংস দিয়েছিল। প্রত্যেক শুক্রবার ডিম দেওয়া হয়। আর অন্য দিন পোস্ত, পটল, সয়াবিনের ত♔রকারি এবং ডাল দেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে আগে পড়ুয়ার সংখ্যা ৯০ ছিল। এখন ২৬০ হয়ে গিয়েছে।
কী বলছেন বর্ধমানের এই স্কুলের শিক্ষকরা? জানা গিয়েছে, মিড–ডে মিলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র প্রতি দৈনিক বরাদ্দ চার টাকা ৯৭ পয়সা। এই দিয়ে রান্নার জ্বালানি, মু🃏দিখানার সামগ্রী এবং আনাজ কিনতে গিয়েই টান পড়ে যাচ্ছে। তবে এই স্কুলেক শিক্ষক–শিক্ষিকারা বলছেন, ‘মেনুতে যাতে ঘাটতি না হয় তার জন✨্য আমরা সবাই চেষ্টা করছি। স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা প্রতি মাসে একদিন মাংসের খরচের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন।’
কী বলছে শিক্ষা সংসদ? এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদনꦺ ভট♒্টাচার্য বলেন, ‘আগুন বাজারদরেও শিক্ষকেরা চাইলে মিড–ডে মিলে ভাল খাবার দেওয়া যে সম্ভব সেটা করে দেখানোর জন্য ওই স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানাই।’ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জেলার অনেক স্কুলের পড়ুয়ারা ভাবতে শুরু করেছে, তাহলে তাদের পাতেও জুটবে মুরগির মাংস।