অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালক। তার কীর্তি দেখে হতবাক হয়ে গেল পুলিশ। আসলে ওই নাবালক একটি সরকার পোষিত পাঠাগার থেকে বই চুরি করেছে। তবে একটি বা দুটি বই নয়, সে চুরি করেছে ২৮ ব💫স্তা বই। বাবা পেশায় দিনমজুর, নেশা ছাড়া ⭕চলে না। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছুই কেনার সামর্থ্য ছিল নাবালকের। তবে এই বইগুলি নাবালক পড়াশোনার জন্য চুরি করেনি। আসলে সেগুলি বিক্রি করে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল নাবালক। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির জাহালদা এলাকায় রয়েছে ওই সরকার পোষিত গ্রন্থাগারটি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে নাবালক বই চোর।
আরও পড়ুন: পায়রায় ক্যামের🍸া ফিট করে🔯 ফাঁকা বাড়িতে নজরদারি, তারপর চুরি, বেঙ্গালুরুতে ধৃত ১
জানা গিয়েছে, ওই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। ওই পাঠাগারে আগে প্রচুর সংখ্যক বই ছিল। তবে বর্তমানে পাঠক সংখ্যা কমে যাওয়ায় নতুন বই সেভাবে তোলা হয় না। তা সত্ত্বেও প্রচুর সংখ্যক বই রয়েছে পাঠাগারে। সেখানকার গ্রন্থাগারিকের মতে প্রায় ৪ হাজার মতো বই রয়েছে সেখানে। এছাড়াও, রয়েছে কম্পিউটার সহ মূল্যবান সামগ্রী। কিন্তু, এই নাবালক শুধু বই চুরি করেছে। তবে একদিনে সে এত𝓀গুলি বই চুরি করেনি।
জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটি ছিল। তখন বন্ধ ছিল গ্রন্থাগারটি। সেই সময় পিছনের দরজার তালা ভেঙে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ দিন ধরে ২৮ বস্তা বই চুরি করেছিল নাবালক, যার সংখ্যা হল ২১০০ টি। সাইকেলে করে নাবালক সেই বইগুলি নিয়ে যেত এলাকারই এক গুদাম মালিক আব্দুল আদুত আলি শায়ের কাছে। জানা যায়, প্র꧋থম দিন বইগুলি তার কাছে বিক্রি করে আড়াইশো টাকা পেয়েছিল নাবালক। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা দরে বইগুলি বিক্রি করেছিল সে। প্রথম দিন গুদাম মালিক অবাক হলেও দ্বিতীয় দিন অবাক হননি তিনি। জানতে পারেন আসলে বইগুলি চুরি করা। কিন্তু, তারপরেও তিনি নাবালককে বাধা দেননি বরঞ্চ নিজের গুদাম থেকে বস্তা দিয়ে নাবালককে আরও উৎসাহিত করেন তিনি।