উত্তরবঙ্গের পর এবার উত্তর ২8 পরগনা। নীতি পুলিশির ধারা অব্যাহত। এবার পরকীয়ার অভিযোগে যুগলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকাবাসীদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্য সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি 'হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা'। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগরের দৌলতপুরে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা। গাছের সঙ্গে বেঁধে এক বিবাহিত মহিলা এক অবিবাহিত যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ। জনতার রোষের হাত থেকে নিগৃহীত যুগলকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক। তাদেরকে খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, বিবাহিত ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে অবিবাহিত ওই যুবকের। অনেকদিন ধরেই দু'জনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক চলছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে দু'জনে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরে আবার ফিরেও আসেন তাঁরা। এরপর গ্রামের মোড়লরা দু'জনকে নিয়ে সালিশি সভা বসান। সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, তাঁরা আর একে অপরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবেন না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এতকিছুর পরও দু'জনের মধ্যে মেলামেশা কম হয়নি বরং তাঁরা গোপনে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তাঁদের দু'জনকে একটি পেয়ারা বাগানে বসে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এ ঘটনার পরই তাঁদের সেখানেই গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।