জন্মের পরেই শিশু কন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা মায🔯়ের বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি, তারা সন্তানকে বিক্রি করেননি, অভাবের সংসারে সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না ভেবেই তারা সদ্যোজাতকে দান করেছেন। তবে এমন অভিযোগকে কেন্দ্র কর🦂ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি অবস্থিত ফুলপাহাড়ি এলাকার। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ২৮ দিনের নাতনিকে বিক্রি করলেন দাদু, গ♏্রেফতার ৫
জানা গিয়েছে, শিশুটির মা শিবানী সিংহ এবং তার স্বামী অমর দাস ফুলপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাদের সাতটি সন্তান রয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি অষ্টম সন্তান অর্থাৎ ওই শিশু কন্যার জন্ম দেন শিবানী। তবে বাড়িতে আসার পর শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাননি প্রতিবেশীরা। তখন তারা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন। যে শিশুটির হাতবদল করা হয়েছে। এরপরে প্রতিবেশীরা আশাকর্মীকে এই বিষয়ে অবহিত করেন। পরে আশাকর্মীরা শিবানীকে ডেকে তার কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান যে নিজের এক পরিচিতের কাছে শিশুকে তুলে দ💧িয়েছেন। বিক্রি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তখন আশাকর্মীরা শিশুর ঠিকানা জানতে চান। তবে ঠিক﷽ানা দিতে অস্বীকার করেন শিবানী। তিনি জানান, তিনি পরে শিশুকে দেখতে যাবেন।
শিꦛশু বিক্রির অভিযোগ উড়িয়ে শিবানী দাবি করেন🤡, তাদের অভাবের সংসার। সন্তানকে ঠিকমতো মানুষ করতে পারবে না তাই ভেবেই তা এক পরিচিতকে তুলে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সংসার চালানোর জন্য শিবানী বাড়িতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন এবং তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন, হুগলির আরামবাগে তার এক দাদা থাকেন তার হাতে তিনি এই সন্তান তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার বক্তব্য তাকে সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। শিশু যাতে পড়াশোনাও করতে পারে এবং ভালোভাবে মানুষ হয় তার জন্যই ওই দাদার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিশু সুরক্ষার আধিকারিকরা শিবানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে শিশুকে উদ্ধার করে একটি সরকারি হোমে রাখা হয়।জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে গেলে তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। নিয়ম না মেনে এভাবে শিশু হাতবদল করা যায় না।