রোজ সকালের মতো আজ, শুক্রবারও সদর দরজার সামনে এসে বাড়ির মালিককে ডাক🐷েন পরিচারিকা। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বার কয়েক দরজায় ধাক্কাও দেন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে কেটে যাওয়ার পর পাড়া–♑প্রতিবেশীদের ডাকেন ওই পরিচারিকা। ততক্ষণে সিভিক ভলান্টিয়ারের মারফত খবর পেয়ে লাভপুর থানার পুলিশও হাজির হয়েছে বীরভূমের ব্রাহ্মণপাড়ায় ওই দোতলা বাড়ির সামনে।
পাঁচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢোকে পুলিশ। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে দেখা যায়, ছাদের দরজা খোলা। খোলা আর দোতলার দুটি ঘরের দরজায়। ঘর দুটিতে প্রবেশ করতেই উদ্ধার হল প্রবীণ দম্প্রতির নিথর দেহ। একটি ঘরে ছিল অবসরপ্রাপ্ত শཧিক্ষক বাড়ির কর্মা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের (৭৫) দেহ ও আর একটি ঘরে পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী স্বপ্না চট্টোপাধ্যায়ের (৬৫) দেহ। আসানসোলে গাড়ির ব্যবসা করেন তাঁদের একমাত্র ছেলে। তাঁকে সকালেই স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন।
পুলিশ পরিষ্কারভাবে কিছু না বললেও স্থানীয়দের অনুমান ওই বাড়িতে লুঠ করতে এসে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। দেহ দুটির পাশ থেকে একটি ভারী বাটখারাও পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত, সেটি দিয়েই মাথায় মেরে তাঁদের খ🦩ুন করা হয়েছে। মৃত গৃহকর্ত্রী স্বপ্না চট্টোপাধ্যায়ের গায়ে যে সব অলঙ্কার ছিল সেগুলি নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। আলমারিও খোলা ছিল, ভেতরের সব কিছু ছড়ানো–ছিটানো অবস্থা পাওয়া গিয়েছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লুঠের কারণেই খুন নাকি এর পেছনে কোনও ব্যক্তিগত শত﷽্রুতা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।